ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
গাজীপুরে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু 

গাজীপুর: গাজীপুরে ছেলের লাঠির আঘাতে বাবা ওসমান গনি’র (৭০) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

 

ওসমান গনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।  

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ওসমান গনির ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) বেশ কিছু দিন ধরে মাদকের সঙ্গে জড়িত। মাদক সেবনের জন্য শরিফুল ইসলাম প্রায়ই তার বড় ভাই সফিকুল ও তার পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা চাইতো। টাকা না দিলে সে ঝগড়া বিবাদ করেতো ও মাঝে মধ্যে ঘর থেকে ফ্রিজ, আইপিএস, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিক্রি করে দিতেন।  

গত শনিবার (১৮ জুন) শরিফুল ইসলাম তার বাবার কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে ওইদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে সারদাগঞ্জ রাইসমিলের পাশে হাবিব মার্কেটের সামনে শরিফুল ইসলাম বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময়ে বাবা তার কাছে জানতে চায় ঘরের জিনিসপত্র কেন বিক্রি করে দিয়েছে। এনিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় মাদকাশক্ত ছেলে লাঠি দিয়ে তার বাবাকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে পালিয়ে যায়।

পরে আশপাশের লোকজনের তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সোমবার (১৯ জুন) রাতে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  

নিহতের বড় ছেলে সফিকুল ইসলামের স্ত্রী আইনজীবী রোমানা সফিক বলেন, গত সোমবার দিবাগত রাতে তার শ্বশুড়কে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্বামী কাশিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ সেটি আমলে নেয়নি।  

এব্যাপারে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, বাবাকে মারধোরের পর ছেলেরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিয়েছিল। যার কারণে আগের ঘটনায় মামলা হয়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
আরএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।