হবিগঞ্জ: প্রায় তিন বছর আগে শখের বশে বকনাসহ ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী কিনেছিলেন কৃষক গোলাম মোস্তফা। পরিপূর্ণ ষাঁড়ে রূপান্তর হওয়া সেই বকনাটির ওজন এখন ২০ মণ।
গোলাম মোস্তফা জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিজের পালিত ষাঁড়টিকে ‘রাজা মিয়া’ নামে ডাকেন তিনি। নামের সঙ্গে আকার ও আকৃতিতেও মিল থাকা গরুটি ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোলাম মোস্তফা ‘রাজা মিয়াকে’ লালন পালন করেছেন রাজকীয়ভাবেই। শান্ত প্রকৃতির এ গরুর খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুষি, নারিস ফিড, কাচা ছোলা, চিডা প্রভৃতি।
কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি ‘রাজা মিয়াকে’ নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি। তার থাকার ঘরে একটি বৈদ্যুতিক পাখা লাগিয়েছি, মশা থেকে বাঁচাতে প্রতিদিন মশারি টানিয়ে রাখি।
তিনি আরও বলেন, গরুটি অত্যন্ত শান্ত মেজাজের। তার খাবার আর ঘুম রাজা-বাদশার মতোই। সারাদিন খায় আর ঘুমায়; তাই নাম রেখেছি ‘রাজা মিয়া’। এবার কোরবানির ঈদে পাঁচলাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে চাই।
এলাকার সবচেয়ে বড় গরুটি দেখতে প্রতিদিনই লোকজন গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ভিড় করছেন। পাইকাররাও আসছেন কেনার জন্য। তবে এখনই বিক্রি না করে আগামী রোববার আজমিরীগঞ্জের সাপ্তাহিক হাটে রাজা মিয়াকে তোলা হবে বলে মোস্তফা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এসআইএ