ফেনী: আসন্ন ঈদুল আজহায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
রোববার (২৫ জুন) দুপুরে ফেনী পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাগ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের, নাজমুল হক শামীম, আরিফুর রহমান, যতন মজুমদার প্রমুখ।
পৌর কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভা সূত্র জানায়, শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমের জন্য একটি সুপারভাইজার ও একটি করে ট্রাক্টর দেওয়া হয়েছে। এসব টিমে ৯২ জন সদস্য নিযুক্ত রয়েছেন। এছাড়া একটি ভ্রাম্যমাণ টিম, একটি পানির গাড়ি ও একটি গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি টিমকে ১০০ করে ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। এসব টিমকে তদারকি করতে তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্মময় বণিক, ৭ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক (অবসর প্রাপ্ত) স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. শাহাজাহান, ১৩ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর সরোয়ার আলম।
সূত্র আরও জানায়, পৌরসভার নির্ধারিত ৮১টি স্থানে পশু জবাই করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাইকিংও করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ১ হাজার ব্যাগ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, পৌরসেবার মান বাড়াতে মেয়র প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। জেলা পর্যায়ে ঈদ জামাত আয়োজনে ফেনী অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার ধারাবাহিকতায় বর্জ্য অপসারণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ফেনী পৌরসভা। পৌরবাসীকে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ঈদের দিন ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। দুপুর ১টা থেকে সেবকরা কাজ করবেন এবং সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারিত হবে। ১২টি টিমে ৮২ জন সেবক কাজ করবেন। যেই টিম যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে তাকে পুরষ্কৃত করা হবে। শুধু প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করতে নির্দেশনা রয়েছে। আশা করি, শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে শতভাগ সফল হব। এছাড়া শহর দুর্গন্ধমুক্ত করতে বিভিন্ন সড়ক ও পাড়ায় পানি-ব্লিসিং পাউডার ছিটানো হবে।
মেয়র বলেন, বর্জ্য অপসারণের কাজ করার কারণে সেবকরা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। এজন্য ঈদের পরের দিন তাদের জন্য বিনোদন ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ডা. কৃষ্ণপদ সাহা জানান, মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিতরা শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। ঈদ উপলক্ষে তাদের জন্য দুটি গরু ও চারটি ছাগল জবাই করে খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, পৌর পরিষদের নেতা, গণমাধ্যমে কর্মরত অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসএইচডি/আরবি