ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিউমার্কেটে জমে ওঠেছে ঈদের কেনাকাটা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
নিউমার্কেটে জমে ওঠেছে ঈদের কেনাকাটা

ঢাকা: ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নতুন পোশাকের বাজারগুলোও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে হয়ে ওঠেছে মুখরিত।

বেচাকেনা জমে ওঠায় এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিপণিবিতানগুলো।

রোববার (২৫ জুন) বিকেলে নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ভিড় অনেক ভেড়ে যায়।

মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা, ব্লক, নানা রঙের কাপড়ে রঙের চাপসহ বিভিন্ন রঙিন নতুন পোশাকে সেজেছে বিপণিবিতানগুলো। এসেছে নতুন নতুন কালেকশনও। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। আর বেশিরভাগ পোশাক রাখা হয়েছে সুতি কাপড়ের। ছেলে-মেয়ে-শিশু সবার জন্যই রয়েছে সব ধরনের পোশাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।

আলমগীর হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকার পাঞ্জাবিগুলোর দাম হাতের নাগালে রয়েছে। এছাড়া ডিজাইনেও রয়েছে বৈচিত্র্য। ঈদের দিন পাঞ্জাবি ছেলেদের জন্য অন্যতম একটা অনুসঙ্গ। তাই গ্রামে ফেরার আগে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য পোশাক কিনতেই নিউমার্কেট আসা।

ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটা করতে গিয়ে নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন। স্ত্রীর জন্য থ্রি পিস, আর এক বছরের মেয়ের জন্য কিনেছেন ফ্রক।

তিনি বলেন, অনেক ঘুরে কিছু প্রয়োজনীয় পোশাক কিনলাম। ঈদ উপলক্ষে দাম একটু বেশি হলেও পণ্যের মান ভালো। অন্য বছরের তুলনায় ডিজাইনেও বৈচিত্র্য আছে।

এ এলাকার ফুটপাতগুলোর মতো নিউমার্কেট কমপ্লেক্সের ভেতরে চক্রাকার চত্বরগুলোতেও বসেছে বাহারি রঙের পোশাকের পসরা। শো-রুমগুলোতেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা। তবে নারী ক্রেতারা থ্রি পিস ও শাড়ির জন্য বেশি ছুটছেন চন্দ্রিমা মার্কেটের শো-রুমগুলোতে। মানুষের মোটামুটি রকম ভিড়ে পুরো এলাকা যেন এক হয়ে আছে। তাতে হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখেও।

বিক্রয়কর্মীরা জানান, সকাল থেকেই কেনাকাটার জন্য আসছেন লোকজন। যদিও ঈদুল আজহায় বেচাকেনা কম হয়, তবুও এবার লোকজন আসছে।

পোশাকের পাশাপাশি ভিড় জমেছে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানেও। পোশাকের পাশাপাশি এসব দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রয়কর্মীরা। জুতার বিভিন্ন শো-রুমে গিয়ে দেখা যায়, নতুন জুতা দেখছেন সব বয়সী ক্রেতা।

আজিমপুর থেকে আসা স্বপন বলেন, পায়জামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে জুতাও নিচ্ছি। ঘড়িও নেব। যদিও কোরবানির কারণে ঈদের দিন সেভাবে ঘোরাঘুরি হয় না, তবুও ঈদ বলে কথা। আনন্দ তো থামিয়ে রাখা যায় না।

আর প্রসাধনীর দোকানে ছিল তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী নারীর ভিড়। পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনীও কিনছেন তারা। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি, ফিতাও নিচ্ছেন অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।