ঢাকা: ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। অন্যদিকে সাড়ে ১১ ঘণ্টায় কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাতে দুই সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এরপর দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত সাড়ে ৯টায় আট ঘণ্টারও কম সময়ে সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়। ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে ঈদের দিন রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৩ ট্রিপে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪টি ওয়ার্ডের সব এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সব বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএসে রাখা হয়েছে। সেগুলো ল্যান্ডফিলে ট্রান্সফার করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সবার সহযোগিতায় পূর্বঘোষিত আট ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি কর্পোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অপরদিকে প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ড থেকে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম রাত ১টা ৩৫ মিনিটে শেষ হয়। সর্বশেষ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণের মধ্যে দিয়ে প্রথম দিনের কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনভর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ