সিরাজগঞ্জ: গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যমুনার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। দুদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে নদীগর্ভে চলে গেল খিদ্রচাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি।
রোববার (০২ জুলাই) বিদ্যালয়টির দুটি কক্ষ যমুনাগর্ভে চলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে গাফিলতি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেই এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলকুচির মেহেরনগর থেকে চৌহালীর এনায়েতপুর স্পার বাঁধ পর্যন্ত এলাকা রক্ষায় ৯৫ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন হয় গত ১৩ মে। যমুনায় পানি বাড়ার কারণে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ বন্ধ থাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায়। ফলে খিদ্রচাপরীসহ আশপাশের এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়। রোববার খিদ্রচাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীগর্ভে চলে যায়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ নয়ন জানান, ১৯৪০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪২ জন। ২০০৮ সালে প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে বিদ্যালয় ভবনটি নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়ে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ে পাঠদান করার মতো আর কিছুই রইল না। ৯ জুলাইয়ের পর স্কুল খুললে খোলা আকাশের নিচে শিশুদের পাঠদান করতে হবে।
বড়ধুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সুজন সরকার জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে আমরা ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাচ্ছি।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া জানান, বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয়টির পাঠদানের বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৩
এসআইএ