ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেনকে চিঠি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেনকে চিঠি

ঢাকা: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলের জোরালো সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন ২০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক। গত ১ জুলাই হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে তারা লিখেছেন, আমরা বাংলাদেশ-আমেরিকান নির্বাচিত কর্মকর্তা, মানবাধিকার, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলকে জোরালোভাবে সমর্থন করি।  

বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আপনার প্রশাসনের উদ্বেগের প্রশংসা করলেও, মার্কিন নীতিকে অবশ্যই বাংলাদেশে ব্যাপক সন্ত্রাসবাদের ঘটনা বিবেচনা করতে হবে, যা সরাসরি বিএনপি-জামায়াত জোট এবং জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন দ্বারা সংঘটিত হয়েছে।

মুসলিম দেশ ও অঞ্চলের ঐতিহাসিক ও সামাজিক-রাজনৈতিক মাত্রা বিবেচনা না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বারবার ব্যর্থতার বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়া আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার উজ্জ্বল উদাহরণ। আমরা বাংলাদেশে তা চাই না।

অনুগ্রহ করে আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার অনুমতি দিন। বাংলাদেশে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮  সালে চারটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত এবং ভালো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানই উদার গণতান্ত্রিক ফলের নিশ্চয়তা দেয় না। বিশেষ করে ২০০১ ও ২০০৮ সালের দুটি অবাধ নির্বাচনের মধ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো ইঙ্গিত করে যে, অবাধ নির্বাচন রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে পরিবর্তন করবে না, যদি না নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পাওয়া এবং সংখ্যালঘু ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।  

উদাহরণস্বরূপ, ২০০১  সালের অক্টোবরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জোট জয়লাভ করে। বিজয়ের পরপরই, জোট বাংলাদেশের ১১টি পশ্চিম জেলাজুড়ে হিন্দু ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব আক্রমণ চালায়।  

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য হিন্দু ও বিরোধী কর্মীদের টার্গেট করা হয়েছিল। সহিংসতার ফলে ব্যাপক লুটপাট এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, হিন্দু নারীদের ধর্ষণ এবং হিন্দুদের উচ্ছেদ করা হয়। এটি ২০০১-২০০৬  পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে চলতে থাকে, কিছু ক্ষেত্রে জোট নেতাদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়।

হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘন ঘন সহিংসতা ছাড়াও, নিচে শুধুমাত্র বিএনপি-জামায়াত জোট নেতাদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের করা সহিংসতার কয়েকটি বড় উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।

২০০৪ সালের ২৪ মে বাংলাদেশের হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী ওরফে হুজি তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর ব্যাপক গ্রেনেড হামলা চালায়, এতে তিনজন নিহত এবং হাইকমিশনারসহ ৫০ জন আহত হয়। মুফতি হান্নান এবং অন্য দুজনকে ২০০৮ সালে ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সন্ত্রাসী ঘটনা হুজির মাধ্যমে সংঘটিত হয়।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৪ জন নিহত এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট শুধু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়নি, বরং একজন দরিদ্র জজ মিয়া এবং একজন আওয়ামী লীগ কর্মী শৈবাল সাহা পার্থকে মিথ্যাভাবে জড়িয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে।

জঘন্য অপরাধের কথা স্বীকার করার জন্য দুজনকেই নির্যাতন করা হয়েছিল, যে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা ছিল না। পরে তত্ত্বাবধায়ক ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান হামলার নেপথ্যের কথা স্বীকার করেন এবং তারেক জিয়া, বিএনপির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান লুৎফুজ্জামান বাবর, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তৎকালীন উপ-মন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে প্রমাণিত। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে ১৭  জনের মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক ও অন্য ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

২০০৫ সালের ১৭  আগস্ট জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমজেবি) ৬৪ জেলাজুড়ে একযোগে ৪৫৯টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দুইজন নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাংলা ভাই নামে পরিচিত শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম। বাংলা ভাই কলেজে পড়ার সময় সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবির (জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন) ছিলেন।  

ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জেএমজেবি এবং হুজি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। ২০০৭ সালের ২১ জুন ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারেক রহমান এবং বেশ কয়েকজন প্রাক্তন বিএনপির মন্ত্রী সরাসরি জেএমবির জঘন্য কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন (জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ)। ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউনূস জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের বেশ কয়েকটি হামলায় বেঁচে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জোট সরকারের একই গ্রুপের নৃশংস হামলার শিকার হন।  

২০০১ সালের অবাধ নির্বাচন গণতান্ত্রিক ফল নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সন্ত্রাসী ঘটনা ও অন্যান্য অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত তারেক জিয়া এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আমাদের উদ্বেগ হলো, তারেক জিয়া ও অন্য আসামিরা কোনোভাবে পেছনের দরজা দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হলে কোনো ধরনের গণতন্ত্র নিরাপদ হবে?

এতদিন রাজনৈতিক কার্যালয়ের বাইরে থাকার পরও বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের সহিংস পথ ছেড়েছে বলে মনে হয় না। , ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করার পর জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা দেশব্যাপী সহিংসতা চালায়, যার ফলে শত শত প্রাণ যায়। এই সহিংসতার কারণে দেশের ইতিহাসে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের হাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।  

২০১৫  সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে বিএনপি-জামায়াত বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি ব্যাপক সন্ত্রাসী প্রচারণা চালায়। বোমা হামলায় ৬০ জনেরও বেশি প্রাণ যায় এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদন বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রচারণার কঠোর সমালোচনা করে এই বলে যে, যেভাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভগুলি পরিচালিত হচ্ছে তা স্পষ্টতই দেখায় যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা সহিংসতার পুনরাবৃত্তির প্যাটার্ন

চিঠিতে তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক ৫০ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। আমরা পারস্পরিক অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক কামনা করি।

সম্প্রতি আমরা আপনার প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপ এবং কয়েইকজন আইনপ্রণেতার বক্তব্য বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্যের মতো দেখছি এবং এই পদক্ষেপগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমরা এসব ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং বিনীতভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে প্রতিফলিত করে, এমন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি, যা বাংলাদেশকে সহিংসতামুক্ত একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দুটি বিরোধী শক্তি রয়েছে। একটি বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ উদার আদর্শের সঙ্গে এবং অন্যটি রাজনৈতিক জঙ্গিবাদে মিশ্রিত ধর্মীয় উগ্রবাদের সঙ্গে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং অপরটির নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত অক্ষ। সাম্প্রতিক মার্কিন নীতি এবং বক্তৃতা শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রাণিত করছে এবং উদারপন্থী শক্তিকে বিভ্রান্ত করছে।

বাংলাদেশের জন্য সহিংসতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমরা আপনাকে বর্তমান কর্মপন্থা পরিবর্তন করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন-  

১। নির্বাচিত বাংলাদেশি-আমেরিকান কর্মকর্তা: কাউন্সিলম্যান ড. নুরুন নবী, নিউ জার্সি; মেয়র মাহাবুবুল আলম তৈয়ুব, পেনসিলভানিয়া; রাজ্য প্রতিনিধি আবুল খান, নিউ হ্যাম্পশায়ার; কাউন্সিলম্যান আবু আহমেদ মুসা, মিশিগান এবং কাউন্সিলম্যান নুরুল হাসান, পেনসিলভানিয়া 

২। সম্প্রীতি ফোরাম, অধ্যাপক এবিএম নাসির, নর্থ ক্যারোলিনা

৩। ইউএসএ বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রকৌশলী রানা হাসান মাহমুদ, এবং প্রকৌশলী স্বীকৃতি বড়ুয়া 

৪। বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটেরান্স ১৯৭১, ইউএসএ ইনকর্পোরেটেড, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ

৫। ক্যালিফোর্নিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নজরুল আলম, তাসনিম সালাম আসলাম

৬। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ইউএসএ, ফাহিম রেজা নূর, নিউ ইয়র্ক

৭। মিশিগান বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ইঞ্জি. আহাদ আহমেদ, আলি আহমেদ ফারিশ

৮। ইউএসএ কমিটি ফর ডেমোক্রেটিক অ্যান্ড সেক্যুলার বাংলাদেশ, জাকারিয়া চৌধুরী

৯। জর্জিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ,  রুমি কবির, মাহাবুবুর রহমান ভূঁইয়া

১০। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, ইউএসএ, খুরশীদ আনোয়ার বাবলু

১১। গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নাসরিন মুন্না

১২। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ড. আব্দুল বাতেন

১৩। ম্যাসাচুসেটস বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সফেদা বসু

১৪ । মোরশেদ আলম, গণতান্ত্রিক নেতা, নিউইয়র্ক

১৫। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ক্যালিফোর্নিয়া কমান্ড কাউন্সিল, জাহেদুল মাহমুদ জামি

১৬ । পেনসিলভানিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আবু তাহের বীর প্রতীক, কাজী শামীম

১৭ । একাডেমিক গ্রুপ: প্রফেসর জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পেনসিলভানিয়া; প্রফেসর মিজান আর মিয়া, ইলিনয়; প্রফেসর জামিল তালুকদার, উইসকনসিন; এবং প্রফেসর শাহাদাত হোসেন, নিউইয়র্ক

১৮। দক্ষিণ নিউ জার্সি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নূরন্নবী চৌধুরী 

১৯ । বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক সংগঠন, তৌফিক সোলেমান তুহিন এবং জামিউল বেলাল, ক্যালিফোর্নিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩ 
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।