ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ মে ২০২৪, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিপৎসীমায় ওঠানামা করছে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
বিপৎসীমায় ওঠানামা করছে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

লালমনিরহাট: উজানে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে কখনো বিপৎসীমার ওপরে আবার কখনো নিচে ওঠানামা করছে। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৩ মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫মিটার) বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েকদিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ৩ ঘণ্টা পরে কিছুটা কমলে সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৩ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার নিচে। ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

নদীপাড়ের মানুষজন জানায়, পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের আবাদকৃত ফসলের ক্ষেতে পানি উঠেছে।

মহিষখোচা এলাকার মানজেদুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত, রাস্তা ঘাট ও পুকুর। চরাঞ্চলে হেঁটে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চরাঞ্চলে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ভোটমারীর শৌলমারী চরের কফিল উদ্দিন বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় শিশু বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে চরম বিপদে রয়েছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বুধবার সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় বিপৎসীমা থেকে ২ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।