ঢাকা: পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ফিলিস্তিনে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তাতে পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিশ্চুপ।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি প্রাণঘাতী বিমান হামলার ঘটনায় বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থার নীরবতা নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষের ওপর ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যেভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে, এতে প্রাণহানি ঘটছে, মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তাতে পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিশ্চুপ। কিন্তু বিভিন্ন দেশে পান থেকে চুন খসলেই বিবৃতি দেয় বা অনেক ক্ষেত্রে বিবৃতি বিক্রি করে। যেসব দেশ বিভিন্ন সময় মানবাধিকার নিয়ে অন্য দেশগুলোকে পরামর্শ দেয়, তাদেরও কোনো বক্তব্য খুঁজে পাচ্ছি না। এটা দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি শিশুদের পাথরের জবাবে ইসরাইলি বাহিনী বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে। বোমা বর্ষণ করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা পৃথিবীতে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তাদের নীরবতা আরও বেশি দুঃখজনক।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শরিক ১২টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই মাস থেকে তারা সরকার বিরোধী একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রস্তুতিতে ৩৬টি দল তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জোটে আসলে কতটি দল আছে, সেটা নিয়ে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। মাস্টার্সের একটি থিসিস অন্তত হতে পারে—বিএনপি জোটে কখন কতটি দল। তারা অনেকটা অ্যামিবার মতো। অ্যামিবা কখনও নিজেকে দ্বিখণ্ডিত করে, বাড়ে। সুতরাং বিএনপি ও অ্যামিবার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ১২ কিংবা ৩৬ দলের নাম যদি মির্জা ফখরুল নিজে মুখস্থ বলতে পারেন—আপনারা (সাংবাদিক) কোনো সংবাদ সম্মেলনে তাকে একবার জিজ্ঞেস করবেন, আপনি দলগুলোর নাম মুখস্থ একটু বলেন—তিনি বলতে পারলে তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাব।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) যাদের কাছে গিয়ে ধরনা দেন, তাদের মধ্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও করা যাবে না। এগুলো গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা যে ক্রমাগত গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করেছেন, সেই কথা ইইউ রাষ্ট্রদূতের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটি বিএনপির অপরাজনীতির ওপর একটি বড় চপেটাঘাত।
কাঁচামরিচ ও চিনি নিয়ে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অর্থনীতির সূচকগুলো গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত ভালোর দিকে। এটিই প্রমাণ করে, আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, আমাদের রিজার্ভ বেড়েছে। আমাদের রপ্তানি আয় বেড়েছে। এগুলো প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বমন্দার সত্ত্বেও দেশ সঠিকভাবে এগোচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক চাকা সঠিকভাবে চলছে।
তিনি বলেন, কাঁচামরিচের দাম কমাতে সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সুযোগ দিয়েছে। ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দেওয়া এখন কিছু কিছু ব্যবসায়ী, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের একটি ট্রেন্ট হয়ে গেছে। ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালন করছে। তারা এ নিয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএ