ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্জন এলাকার ফ্যাক্টরই ডাকাত দলের টার্গেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
নির্জন এলাকার ফ্যাক্টরই ডাকাত দলের টার্গেট

ঢাকা: যেসব ফ্যাক্টরিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল কিংবা নির্জন এলাকায়- সেগুলোকেই টার্গেট করত একটি ডাকাত দল। কোনো ফ্যাক্টরি পেলে দলের সদস্যরা পরিকল্পনা করত।

তারপর সে অনুসারে বিভিন্ন জেলা থেকে একত্রিত হয়ে ডাকাতি চালাতো তারা।

গত ২ জুলাই ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিডেট নামে একটি কারখানায় ডাকাতি হয়। লুট হয় ৮২ লাখ টাকার মালামাল। এ ঘটনায় ঢাকার সাভার, আশুলয়িা ও গাজীপুররে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হামিদুল ইসলাম (৪০), আমিরুল ইসলাম ওরফে রাজু (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন (৩২), আজিজুল হক ওরফে আজিজ (৪৮), ইস্রাফিল (৩০), সজল মিয়া (৩০) ও রাশদিা বেগম (৩৩)।

অ্যাপিজ গ্লোবালের সত্ত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদের সন্দেহ, ডাকাত দলে ফ্যাক্টরির লোক থাকতে পারে। নয়তো এতো বড় ডাকাতি করা সম্ভব হতো না। তবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কেউ ফ্যাক্টরির লোক নয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত ২ জুলাই রাতে একদল সশস্ত্র ডাকাত কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া নিশানবাড়ী এলাকায় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে। একজন সিকিউরিটি গার্ডকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তিনটি আঙ্গুল কেটে ফেলে। তাদের হাত-পা বেধে চোখ-মুখে কাপড় দিয়ে বেধে ফেলে। পরে ওই দলের ৮-১০ জন সদস্য দুটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে কারখানায় ঢুকে মূল্যবান কম্বল, কোটিং ফেব্রিক্স, রেইনকোট ফেব্রিক্স, মেস কাপড়, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যানসহ ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় গার্ডদের হত্যারও হুমকি দেয়।

পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয় দায়িত্বরতরা। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। এসব যাচাই বাছাই করে সাভার, আশুলয়িা ও গাজীপুররে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাত ও লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়কারী পলাতক আসামি মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে জানা যায়, ডাকাতি করা মালামাল মোশাররফের গুদামে আছে। পরে পুলিশ রাশিদাকে নিয়ে সেখানে গিয়ে মালামালগুলো উদ্ধার করে।

ডাকাতদের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তাররা সকলে আন্তঃজেলা ফ্যাক্টরি ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ছদ্মবেশে ঢাকার আশপাশসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী এলাকায় যেসব ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ও নির্জন এলাকায় সেগুলোর মালামাল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেকি করে ডাকাতি করে। বিভিন্ন এলাকায় চক্রটির সদস্য রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
পিএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।