ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বটগাছের কুঠুরিতে আটকে যায় শিশুর হাত, এলাকাবাসী বলছে অলৌকিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
বটগাছের কুঠুরিতে আটকে যায় শিশুর হাত, এলাকাবাসী বলছে অলৌকিক

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় বিশাল আকৃতির বটগাছের কুঠুরিতে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর হাত আটকে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে স্থানীয়রা ছুটে এসে প্রকাণ্ড গাছটিতে কুঠারাঘাত করতে থাকে।

খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ছুটে এসে গাছের ওই অংশটুকু কেটে অক্ষত ও সুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চন্ডীমন্ডপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুটির নাম মিনহাজ রহমান খুকু। সে স্থানীয় পশ্চিম চন্ডীমন্ডপ এলাকার বাসিন্দা মো: মজনু মিয়ার ছেলে।  

এদিকে গাছের কুঠুরিতে শিশুর হাত আটকে যাওয়া ও তাকে উদ্ধারের ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায় ওই বটগাছ এলাকায়। শিশুটিকে উদ্ধার করলে স্থানীয়রা উল্লাসে মাতেন।  

ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে নানা ধরনের অলৌকিক গল্পকথা ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। বিষয়টি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।    

ঘটনার বিষয়ে মুক্তাগাছা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দে মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বটগাছের কুঠুরির মুখ কেটে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে শিশুটির পরিবারে হাসি ফুটেছে। এটাই আমাদের বড় পাওয়া।

স্থানীয়রা জানায়, দুরন্ত প্রকৃতির শিশু খুকু বটগাছের কুঠুরির মধ্যে মৌচাকের মধু সংগ্রহের আশায় একটি হাত ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় আকস্মিক হাতটি কুঠুরিতে আটকে গেলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে ঘটনাটি টের পেয়ে স্থানীয়রা হাত বের করতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

উদ্ধার হয়ে নিজেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি শিশু মিনহাজ রহমান খুকু।  

কীভাবে হাত আটকে গেল সেই বটগাছের কুঠুরিতে প্রশ্নে সে জানায়, মৌচাকে মধু আছে ভেবে আমি গাছের ভেতরে ডান হাত ঢুকাতেই মনে হচ্ছে হাত আরও ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। এ সময় ভয়ে আমি চিৎকার দিলে পাশের লোকজন ছুটে আসেন।

খুকুর বাবা মো. মজনু মিয়া বলেন, কীভাবে কী ঘটেছে এটা আমিও বুঝতে পারছি না। তবে আমার ছেলে বিপদমুক্ত হয়েছে এতেই আমি খুশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।