বরিশাল: উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বরিশাল জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক নির্বাচন (২০২৩-২০২৫) সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (০৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ১৮টি পদের বিপরীতে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর মোট ভোটার ছিলেন ৯০ জন। এর মধ্যে শতভাগ ভোটারই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল জেলা শাখার নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান পবিত্র চন্দ্র ঘোষ।
তিনি বলেন, খুব সুন্দর, সুষ্ঠুভাবে উৎসবমুখর পরিবেশের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালের নির্বাচনের শতভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন এটাই আমাদের প্রাপ্তি। আর চারজন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে কার্যকরী সদস্য ১৭ ও ১৮ নম্বর সদস্য নির্বাচিত করা হয় বলেও জানান তিনি।
ভোট গণনা শেষে বাজুস নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে সাহাদাত অ্যান্ড সন্স জুয়েলার্সের শেখ মো. মুসা ৫৯ ভোট পেয়ে প্রথম কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, ৫৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মেসার্স আমিন জুয়োলার্সের আলহাজ্ব নুরুল আমিন এবং সমান সংখ্যক ৫৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মেসার্স এ রহমান অ্যান্ড সন্স জুয়েলার্সের মো. আরিফুর রহমান।
এদিকে ৫৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন পুলক স্টোর্স অ্যান্ড জুয়েলার্সের পুলক কুমার দাস, ৫৩ ভোট পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন লাভলী জুয়েলার্সের শেখর চন্দ্র ঘোষ, ৫২ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে নির্বাচিত হয়েছেন মেসার্স দেশ জুয়েলার্সের অরুণ চন্দ্র দাস।
৫১ ভোট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন নাজ জুয়েলারির মোহাম্মদ আলী খান এবং সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে অষ্টম হয়েছেন আল ফাতিয়া স্টোর অ্যান্ড জুয়েলার্সের রেজাউল সিকদার।
৫০ ভোট পেয়ে নবম স্থানে নির্বাচিত হয়েছেন অনিমা জুয়েলার্সের রাজীব কুমার দত্ত, সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে ১০ম স্থানে নির্বাচিত হয়েছেন স্বর্ণা জুয়েলার্সের লিটন কর্মকার এবং সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে ১১তম হয়েছেন মেসার্স বধুয়া জুয়েলার্সের সত্যজিৎ কর্মকার।
৪৯ ভোট পেয়ে ১২তম সদস্য হয়েছেন মেসার্স আশ্রাব জুয়েলার্সের বাচ্চু তালুকদার এবং সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে ১৩তম সদস্য নির্বাচিত মেসার্স মনির জুয়েলার্সের মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
৪৮ ভোট পেয়ে ১৪তম সদস্য হয়েছেন আবির জুয়েলার্সের পরিমল দেবনাথ, ৪৭ ভোট পেয়ে ১৫তম সদস্য হয়েছেন মেসার্স লাকী জুয়েলার্সের মো. লাল মিয়া, ৪৫ ভোট পেয়ে ১৬তম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অপুর্ব জুয়েলার্সের রতন কর্মকার।
এছাড়া ৪৪ ভোটে ১৭তম সদস্য নির্বাচিত হন মেসার্স শরীফ জুয়েলার্সের মো. মাহাবুব শরীফ এবং সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে ১৮তম সদস্য হয়েছেন আয়েশা জুয়েলার্সের মো. শাহ আলম খান।
সার্বক্ষণিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন ঢাকা থেকে আসা বাজুসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গুলজার আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মো. রিপনুল হাসান ও বাজুস সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও বাজুস ষ্টেন্ডিং কমিটি ও অন ডিষ্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য (সিলেট বিভাগীয় প্রধান) নীহার কুমার রায়।
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুসের সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে জুয়েলারি ব্যবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। সভাপতির প্রত্যাশা সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুসের ছাতার নিচে নিয়ে আসা।
তিনি বলেন, সারাদেশে এখন আমাদের ৪০ হাজার সদস্য আছেন। এর আগে ১১টি জেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর বরিশাল জেলা নিয়ে ১২তম জেলায় আমাদের নির্বাচন হচ্ছে। আমাদের সভাপতি চাচ্ছেন সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সারাদেশে নির্বাচনের আয়োজন করতে। এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আগামীতে অন্য জেলাগুলোতেও পর্যায়ক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশালের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, খুব সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে বরিশালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতিই বলে দিয়েছে তারা নির্বাচনের প্রতি কতটা আগ্রহী ছিলেন।
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব খালেদ আকন্দ বলেন, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটগ্রহণ শুরু থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যসহ ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, সার্বক্ষণিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন ঢাকা থেকে আসা বাজুসের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বোর্ডের দুই সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আলহাজ্ব মো. মোজাম্মেল হক ও মো. সোহরাব হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২৩
এমএস/এফআর