বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক নারী পোশাক কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবু (২৬) ও মো. হারুন হাওলাদার (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা চাওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাঁচা রাস্তার পাশে।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া লোদা গ্রামের মো. বাবুল হাওলাদারের মেয়ে সাবিনা আক্তার একজন পোশাক কর্মী। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তার কর্মস্থলে কাজের চাপ কম থাকায় নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছেন। সাবিনা আক্তার ও তার বান্ধবী ডিম কেনার উদ্দেশে বাড়ি থেকে দোকানে যান। সেখানে বখাটে সাইফুল ইসলাম বাবু তাকে কথা বলার উদ্দেশে ডেকে নেয় এবং জোর করে জঙ্গলের দিকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ওই বখাটে। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে বখাটে পালিয়ে যায়। এর একদিন পর বুধবার (৫ জুলাই) দুইজনকে আসামি করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী বাবা।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও সাইফুল পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত সাবিনাকে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতন করা হয় বলে ওই পরিবারের অভিযোগ।
নির্যাতনের শিকার সাবিনা আক্তার ও তার বান্ধবীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই গার্মেন্টস কর্মীর বাবা মো. বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাইফুল ইসলাম বাবু ও মো. হারুন হাওলাদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বাবুল হাওলাদার বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এর আগেও এলাকাবাসীর কাছে বলেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। প্রশাসন যেন সুষ্ঠু বিচার করেন। আর কোনো মেয়ের অবস্থা যেন এমন না হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, গত মঙ্গলবারে সাবিনা আক্তারকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. বশির আলম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তবে খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
আরএ