ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লিফট-এস্কেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
লিফট-এস্কেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা: লিফট ও এস্কেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এস্কেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া)।

সংগঠনটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত রেখে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এস্কেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সর্বমোট ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলিয়া আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লিফট ও এস্কেলেটরের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকেই এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বেলিয়া সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, করোনা পরবর্তী গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ী মন্দা, বিভিন্ন দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণে লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তারপরও গত অর্থবছরে লিফটের উপরে ৫ শতাংশ শুল্কবৃদ্ধি করায় আমাদানীকারদের আরও বেগতিক অবস্থায় পড়তে হয়েছে এবং গত অর্থবছরে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা বিক্রয় পর্যায়ে সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট দিই। সরকার লিফট উৎপাদনকারীদের ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ ঘোষণা করেছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক ও কর অনুযায়ী দেশিয় উৎপাদনকারীরা লিফটের যন্ত্রাংশে এক শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রদান করে। উৎপাদনকারীরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে জাহাজ ভাড়ার সুবিধা, আমদানি করের সুবিধা এবং সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট সুবিধায় সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানিকারকদের থেকে ২৫ শতাংশ কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানি শুল্ক আবারও ১০ শতাংশ বাড়ানোর কারণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আমদানি লিফট ও দেশিয় শিল্পে উৎপাদিত লিফটের দামের পার্থক্য হচ্ছে ৩৭-৪০ শতাংশ, যা খুবই অসম হচ্ছে।

বেলিয়া সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের লিফট ও এস্কেলেটরের বর্তমানে চলমান হাতে নেওয়া কার্যাদেশের মূল্য প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

মানববাহন লিফটের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশে লিফট স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করাও এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ এলিভেটর, এস্কেলেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) সরকারের সাথে একযোগে এই আমদানি নির্ভর সেক্টরের বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন, সেফটি এবং স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা প্রনয়ণ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রনয়ণ ইত্যাদি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে একযোগে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। তাই উপরোক্ত বিষয় ও পরিস্থিতির আলোকে সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য লিফট এবং এস্কেলেটরকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের শুল্ক কর হার বহাল রাখার আবেদন জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে সংগঠনের সহ-সভাপতি আকতার জামিল ভূঁইয়া, মো. সাইফুল ইসলাম, অচিন্ত কুমার বিশ্বাসসহ প্রায় দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩  
এনবি/এমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।