ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেরানীগঞ্জ কারাগার ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে সকাল-বিকেল ছিটানো হয় ওষুধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
কেরানীগঞ্জ কারাগার ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে সকাল-বিকেল ছিটানো হয় ওষুধ

ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে সকাল-বিকেল ওষুধ ছিটানো হয় বলে জানান কারা চিকিৎসক। বন্দিদের জ্বর ঠান্ডা দেখা দিলেই কারা হাসপাতালের ল্যাবে সিবিসি পরীক্ষার করে রক্তের প্লাটিনেট কাউন্ট করা হয়।

এখন পর্যন্ত বন্দি ও কারাগারে কোনো কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের মধ্যে কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) ১৭২ বেডের কারা হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শুভর সঙ্গে বাংলানিউজের কথা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারা হাসপাতালে বর্তমানে ৫২ জন বন্দি রোগী ভর্তি আছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বন্দী জ্বর ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। ওয়ার্ড থেকে জ্বর নিয়ে যে সকল বন্দি কারা হাসপাতালের আসছে তাদের প্রথমে সিবিসি পরীক্ষা করে রক্তার প্লাটিনেট কাউন্ট করা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো বন্দির সিবিসির পরীক্ষার রক্তের প্লাটিনেট কম পাওয়া যায়নি সেটা স্বাভাবিক আছে। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কোনো কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আজকের হিসাব মতে কারাগারে প্রায় ৯ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে। এছাড়া পুরো কারাগারে দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত লোকজন পরিষ্কারের পাশাপাশি সকাল বিকেল মশা নির্মূলের জন্য মেশিন দ্বারা স্প্রে করে থাকে। তাদের কারা অধিদপ্তর থেকে মশা নির্মূলে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঢাকা কারাগারে ১৭২ বেডের হাসপাতালে তিনিসহ মোট তিনজন চিকিৎসক আছে। এখানে সিনিয়র কনসালটেন্ট নেই। তবে শীঘ্রই আরও দুজন চিকিৎসক কারা হাসপাতালে যোগ দিচ্ছেন। তাদের পোস্টিংও হয়েছে।

এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। প্রতিদিন এই পরিষ্কারের জন্য মনিটরিং করা হয়। কারাগারে সকাল বিকেল মশা নির্মূলের জন্য ওষুধ ছিটানো হয়। ইনশাল্লাহ এখন পর্যন্ত ঢাকা কেন্দ্রী কারাগার (কেরানীগঞ্জ) ডেঙ্গু মুক্ত। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দিকে খেয়াল রাখলেই ডেঙ্গু মশা থেকে মুক্ত পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করি।  

কারাগারের অপর একটি সূত্র জানান, শুধু পরিষ্কার বা দুই বেলা মশা নির্মূলের জন্য ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি বন্দিদের প্রতি কড়া নির্দেশ আছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকতে হবে। কোনোরকম কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কারাগারে লোকজনদের পাশাপাশি কয়েদি ও হাজতিরা এই মশা নির্মূলের জন্য প্রতিদিন কাজ করে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এজেডএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।