কক্সবাজার: টেকসই, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চেয়ে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের কাছে চিঠি দিয়েছে রোহিঙ্গারা।
বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে বিশ্বখাদ্য সংস্থা পরিচালিত ইভাউচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের হাতে চিঠিটি তুলে দেন রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস-এর চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের।
চিঠিতে বলা হয়, আমরা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের আদিবাসী জাতি। বর্তমানে আমরা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছি। আমাদের নিজস্ব জন্মভূমি থাকলেও অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়ে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে এখানে আশ্রয়ে আছি।
আমরা (আমাদের পূর্বপুরুষ) এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী যৌথভাবে মিয়ানমারের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি। নু-অ্যাটলি চুক্তি যা ১ অক্টোবর ১৯৪৭ লন্ডনে গাওয়া বা লেখা হয়, আর্টিকেল নম্বর-৩ অনুসারে, আমরা রাষ্ট্রহীন নই। অথচ মিয়ানমার সরকার এখনো অস্বীকার করছে যে, আমরা মিয়ানমারের জাতি নই। তারা সংসদের রেজিস্ট্রার থেকে আমাদের জাতীয়তা বাতিল করেছে। মিয়ানমার সরকার ও কিছু বৌদ্ধ রাজনীতিবিদ একতরফা খেলা খেলছে।
তাই আমরা আশা করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করবে।
আমরা রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা, মর্যাদা ও জবাবদিহিতা, মানবাধিকার নিয়ে আমাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। তাই, আমরা মিয়ানমারের সামরিক পরিষদের পাশাপাশি ন্যাশনাল ইউনিয়ন গভমেন্ট-এর ওপর আরও চাপ সৃষ্টির জন্য অনুরোধ করছি। অনুগ্রহ করে রোহিঙ্গাদের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও জবাবদিহিতা পূরণের চেষ্টা করুন।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আমিন বলেন, ক্যাম্পের পরিস্থিতি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জানিয়েছি, আমরা মর্যাদা নিয়েই দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াসহ একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
এসবি/নিউজ ডেস্ক