ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ টাকায় টিকিট কেটে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে চোখ পরীক্ষা করাতে এসে অসহায় ছোট্ট রাব্বির দায়িত্ব নেন।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে চোখ পরীক্ষা করান তিনি।
তিনি হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন ও ছবি তোলেন।
এ সময় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট রাব্বির দিকে চোখ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি এগিয়ে যান, পরম মমতায় আদর করেন শিশুটিকে। প্রধানমন্ত্রী ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান- কী করে সে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে।
১১ বছরের রাব্বি জানায়, সে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করতেন। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ-এর ৮৩ নম্বর ঘরে থাকেন। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিন মজুর। ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়েছে রাব্বি। ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হন রাব্বির কথা শুনে। তিনি ছোট্ট রাব্বির দায়িত্ব নেন। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। চোখের পরীক্ষা শেষে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে দেখেন শেখ হাসিনা।
এর আগেও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এমইউএম/এসআইএস