বগুড়া: বগুড়া শহরের গোহাইল রোড এলাকা থেকে ইজিবাইক হারানো হায়দার আলীর (৪৭) পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ।
শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর পক্ষে হায়দার আলীকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) স্নিগ্ধ আখতার।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের গোহাইল রোড থেকে বগুড়া সদর উপজেলার বেলাইল এলাকার মৃত জুরান আলী আকন্দের ছেলে হায়দার আলীর নতুন কেনা ইজিবাইকটি হারিয়ে যায়। সেদিন সাতমাথায় প্রবেশ করায় হায়দার আলীর ইজিবাইকের সিট খুলে নিয়ে জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে শহরের গোহাইল রোডে ইজিবাইক রেখে তিনি ট্র্যাফিক পুলিশের বক্সে যান সিট ছাড়িয়ে নিতে। সিট না পেয়ে হায়দার ফিরে এসে দেখেন, ইজিবাইক নেই। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও ইজিবাইকটি পাননি। জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে কান্না থামছিল না হায়দারের। তার তিন সদস্যের সংসারের জীবিকার একমাত্র উৎস ছিল ইজিবাইকটি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ইজিবাইক চুরি যাওয়ার পর থেকেই হায়দার আলী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরে এ ঘটনা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নজরে এলে তাকে সাময়িক সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী আজ তাকে নগদ দশ হাজার টাকা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, ইজিবাইক হারানোর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। জড়িতকে ধরতে এবং ইজিবাইকটি উদ্ধার করতে পুলিশের পাশাপাশি ডিবির টিম কাজ করছে। দ্রুত তার হারানো সেই ইজিবাইক উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে কান্না জড়িত কণ্ঠে হায়দার আলী বলেন, জমি বিক্রি করে আমি সম্মানের সঙ্গে আয় রোজগারের তাগিদে একটি নতুন ইজিবাইক কিনি৷ সেটি হারিয়ে যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে নগদ টাকা ও কিছু খাবার দিয়েছে। আমি আশাবাদী যে, পুলিশ আমার হারিয়ে যাওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করে আমার একমাত্র উপার্জনের সম্বলটি ফিরিয়ে দেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
আরএ