ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হতে হবে, শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপনেডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হতে হবে, শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ‘অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান-২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি; চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে তার উপযুক্ত জনশক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি, সেখানে কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের লোক দরকার। সেখানে পরিচালনা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। আন্তর্জাতিকভাবেও বহু দেশ দক্ষ জনশক্তি চায়, সেভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই সেভাবে শিক্ষাগ্রহণ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা করতে পারি সেই কারিগর হিসেবে শিক্ষার্থীরা নিজেদের গড়ে তুলবে সেটাই আমি আশা করি।

দেশের প্রতি কর্তব্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে ভালবাসতে হবে, দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি একটা কর্তব্যবোধ থাকতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে নয়, দেশ-মানুষ সার্বিকভাবে যত উন্নত হবে নিজের জীবনটাও উন্নত হবে।

তিনি বলেন, আসুন সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে আরও উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলি।

দক্ষ জনশক্তি গড়তে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আমরা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেভাবে আমরা প্রায় ৩৯টি হাইটেক পার্ক, কম্পিউটার এবং ইনকিউবেশন সেন্টার করে ট্রেনিং দিচ্ছি। ন্যানোটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সব বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।

দক্ষ সুনাগরিক গড়তে শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক যারা আছেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের আরও যত্ন করে এসব বিষয়ে শিক্ষা দেবেন। তারা যেন স্বাধীন বাংলাদেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের এই প্রজন্মই তো আগামী দিনের রাষ্ট্রের কর্ণধার হবে। আমাদের আর কতদিন। বয়োবৃদ্ধ হচ্ছি, কাজে কবে আছি কবে নাই। তারপরও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ‘যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আঁশ’ কাজ করে যাব এটাই হচ্ছে কথা।

প্রধানমন্ত্রী ১০ জন অসচ্ছল মেধাবী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তি তুলে দেন।

১১ হাজার ২৮৫ জন অসচ্ছল মেধাবী এবং ১ হাজার ১০৯ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন; মোট ১২ হাজার ৩৯৪ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার বৃত্তি পেয়েছে।

এ অনুষ্ঠান থেকে আইসিটি মাস্টারপ্ল্যানসহ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার সেলিম সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু সালেক মোহাম্মদ সৌরভ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে দুইজন শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এমইউএম/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।