ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে আড়াআড়ি বেড়া দিয়ে মা মাছ ও পোনা নিধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
ফরিদপুরে আড়াআড়ি বেড়া দিয়ে মা মাছ ও পোনা নিধন

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় পদ্মা-আড়িয়াল খাঁসহ বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে আড়াআড়ি বেড়া দিয়ে চলছে অবাধে মা মাছ ও রেনু পোনা নিধনের মহোৎসব। এতে জেলেরা লাভবান হলেও বর্ষা মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের প্রজনন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ভুবনেশ্বর নদে সামান্য এলাকায় বাঁশ দিয়ে ঘিরে মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এছাড়া আকোটেরচর হাট সংলগ্ন  স্লুইসগেট, চর রামনগর, শিমুলতলি বাজার, হাজীকান্দি খাল, কাটাখালি, লোহারটেক, মুন্সীরচর মরা আড়িয়াল খাঁয়, শয়তানখালী পদ্মার পাড় ঘেঁষে, চন্দ্রপাড়া ঘাট, চরনাছিরপুর, চরমানাইর, নারিকেল বাড়িয়ার বিভিন্ন চরের জলাশয় যেখানে বর্ষার শুরুতেই মা মাছ প্রজননের জন্য আসে সেখানে মৎস্য অভয়ারণ্য না থাকায় নিধন হচ্ছে মা মাছ ও রেনু পোনা।  

মৌসুমি জেলেদের মাছ ধরা আইন বিষয়ক কোনো প্রশিক্ষণ ও প্রশাসন কর্তৃক প্রচার প্রচারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে মা মাছ ও রেণু পোনা।  

এসব এলাকায় মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ আড়াআড়ি বাঁধ (বেড়া) ও চায়না দোয়ারি, টোনাজাল, মশারিজাল, সুতিজাল, রাক্ষুসীজালসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা মাছ ও রেণু পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করছেন জেলেরা।

উপজেলার চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকার দোকানিরা জানান, প্রতিদিন সকালে এখানে রেনু পোনার বাজার বসে। জেলেরা আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে রেনু পোনা সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করে। প্রতিদিন এখান থেকে রেনু পোনা ছোট পিকআপ ভ্যানে করে অন্যান্য জেলায় যায়। প্রশাসন মা মাছ ও রেনু পোনা শিকারি জেলেদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. জাহাঙ্গীর কবির জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। মৎস্য বিভাগে লোকবল কম, তা সত্ত্বেও আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সাংবাদিকদের নিয়ে অতিশীঘ্রই রেনু পোনা ধরার ওপর অভিযান চালাবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।