ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজন হলে আমরা সেনাবাহিনীকেও ব্যবহার করবো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।  

তিনি বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে সেখানে শান্তিরক্ষা করার জন্য কাজ করবো।

আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিফহাল, আমাদের সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আমাদের সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা যেন অশান্তির সৃষ্টি করতে না পারে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি তার একজন সঙ্গীকে নিয়ে এখানে এসেছিলেন। তারা মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সহিংসতা বাড়ছে সেজন্য কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন সেখানে আমাদের সেনা ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা রয়েছে, সহিংসতা কেন হচ্ছে? তিনি সেনাবাহিনীর এসওপির কথা বলেছেন, সেটা আমরা ফলো করছি কিনা? সবগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে। আমরা এটাই বলেছি যে ছোট একটি জায়গায় এক দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষ এখানে, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তো এখানে থাকবেই, সেসব সমস্যা থেকে তৈরি হবে সহিংসতা।

তিনি বলেন, সহিংসতায় শুধু তারাই মারা যাচ্ছে না। আমাদের সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ অফিসারও মারা গেছেন, এয়ারফোর্সের একজন দক্ষ অফিসার মারা গেছেন। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিফহাল, আমাদের সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি যাতে কিলিং বন্ধ হয়। এটাই আমরা তাকে জানিয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব সময় সেনা সদস্যরা দায়িত্বে থাকেন। যদি প্রয়োজন হয় আমরা সেনা সদস্যদের ব্যবহার করবো। সেই এসওপি আমরা তৈরি করেছি। সেই এসওপি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে আমরা ব্যবহার করবো, সেটি আমরা তাকে জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। এখানে তারা যেন অশান্তির সৃষ্টি করতে না পারে।

তিনি বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে টেকনাফ ও উখিয়াতে চার লাখ রয়েছেন তারাও এখন অসহায়। সেখানকার বন নষ্ট হয়েছে, তাদের লবণ ফিল্ড নষ্ট হয়েছে। এসবগুলোও রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। এসব নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে। আমরা যেটি মনে করি আপনারও সেই কাজটি করবেন। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন। আমরা যে কোনো মূল্যে সেখানে শান্তিরক্ষা করার জন্য কাজ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।