ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: দাবি আদায়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শনিবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ কথা জানানো হয়।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সেক্রেটারি শেখ কাউছার আহমেদ বলেন, আপনি আমাদের অভিভাবক, আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বললে আর কারও কথা লাগবে না আপনি আমাদের ৫ মিনিট সময় দেন যেন আমরা সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারি। আপনি ৫ মিনিট না পারেন অন্তত ২ মিনিট আমাদের সাথে বসুন। আপনার কাছে আমাদের কোনো দাবি নেই। আপনি শুধু বলবেন, আমাদের নির্দেশ দেবেন, আমরা শুনে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো। অন্যথায় আমরা কারও আশ্বাসে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো না।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এ সমস্যার সমাধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ২০০৪ সালের আইন অনুযায়ী ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ১০০০ টাকা বাসা ভাড়া পাই। এটাকে সংশোধন করতে বলেছি আমরা। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সেটাকে অস্বীকার করে বললেন সামনে নির্বাচন এখন কোন জাতীয়করণ করা বা অন্যান্য ঘোষণা দেয়া যাবে না । কোন পরিবর্তনও আনা যাবে না৷ এর পরে আবার আমাদেরকে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হলে আমরা গিয়ে দেখি সেখানে রাজনৈতিক নেতারা আসন দখল করে বসে আছেন, আমাদের বসতেও দেওয়া হয়নি ঠিকমতো। এটা আমাদের শিক্ষক সমাজের অপমান স্বরূপ। পরে আমরা বুঝেছিলাম মন্ত্রীর কথায় কিছু হবে না। আমরা মনে করি শুধু প্রধানমন্ত্রীই পারবেন আমাদের বেসিরকারি সাড়ে পাচ লাখ শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসা।
কর্মসূচি থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া সভাপতি হিসেবে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি শেখ কাউছার আহমেদ প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এসকেবি/এএটি