ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএনসিসিতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
ডিএনসিসিতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা

ঢাকা: ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের ১৩তম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১১টি মামলায় মোট সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।  

শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

তিনি জানান, এই দিন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত দারুস সালাম ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৭৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। চারটি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চারটি মামলায় একলাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন রশিদ জনি, ডিএনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী।

তিনি আরও জানান, অঞ্চল-১০ এর আওতাধীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাধীনতা সরণী এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোট একলাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

অঞ্চল ১ ও ৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পরে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।
 
এছাড়াও ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযানে শনিবার (২২ জুলাই) পর্যন্ত ১৩ দিনে মোট ১৬৮ মামলায় এককোটি ২৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সব বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।