ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে ছুরিকাঘাতে আহত আরও এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
বরিশালে ছুরিকাঘাতে আহত আরও এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু ফাইল ফটো

বরিশাল: বরিশাল নগরের কাশিপুরে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে আহত আরও এক সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার একদিন পর রোববার (৩০ জুলাই) রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়।

গত শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে কাশিপুর বাজারে কম দামে মরিচ বিক্রি নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে বাজারের অন্য সবজি বিক্রেতাদের দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে ওই দিন সবজি বিক্রেতা মো. কামাল হোসেনের (৩৮) মৃত্যু হয়। এছাড়া ছুরিকাঘাতে আরও ৫ জন আহত হয়।

এর মধ্যে গুরুতর আহত আলমগীর হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন মৃত আলমগীর হোসেনের ভাগনে শহিদুল ইসলাম।

মৃত আলমগীর (৪০) নগরের ২৮ নং ওয়ার্ড দিয়াপাড়া দিঘির পাড় এলাকার তিনু মাঝির ছেলে। তিনি কাশিপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।

এর আগের হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিষয়টি সংযুক্ত হবে। নতুন করে আর কোনো মামলা হবে না। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।

শনিবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম। মামলায় ছুরিকাঘাতকারী মরিচ বিক্রেতা সোহেল রানাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহেরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।  তবে বরিশাল নগরীর ইছাকাঠি সড়কের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা কাশিপুর বাজারে মুদি ও কাঁচামাল বিক্রেতা।

নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ হোসেন বলেন, কাশিপুর বাজারের সামনে কমদামে সবজি ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিল সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারির ও ছুরিকাঘাতে ৬-৭ জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানান, কাশিপুর বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করে। সোহেল রানা বাজারের সামনে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করে। তখন কামালসহ অন্যরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করে। কিন্তু সোহেল রানা রাজি হয়নি। এতে তাকে বাজারের কয়েকজন সবজি বিক্রেতা মিলে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটা ছুরি দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। তার ছুরিকাঘাতে কামালসহ চারজন জখম হয়। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর কামালকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিহত কামাল নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাশিপুরের সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে।

তখন কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪০), তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও অপর ভাই মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫), এবং একই এলাকার মৃত মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেককে (৬০) আহত অবস্থায় শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়।

ঘটনায় আহত ছুরিকাঘাতকারী মো. সোহেল রানা (৫০) পুলিশ প্রহরায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।