মাদারীপুর: মাদারীপুরের শিবচরে চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন চাইতে গিয়ে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের হামলায় কাশেম শিকদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের চর গুয়াতলা ভোরেরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাশেম শিকদার ওই এলাকার জয়নাল শিকদারের ছেলে। খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে শিবচরের দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের চর গুয়াতলা ভোরের বাজার এলাকার কাশেম শিকদারের ঘর থেকে একই এলাকার কাশেম মাদবরের ছেলে রাসেল মাদবর দুইটি স্মার্ট ফোন চুরি করেন। এ সময় ঘরের লোকজন তাকে দেখে ফেললেও ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মোবাইল চুরির পর থেকেই অভিযুক্ত রাসেল মাদবর গা ঢাকা দেন। এ ঘটনার প্রায় ৩ মাস পর গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) তিনি বাড়ি ফেরেন।
এদিকে রাসেল মাদবরের বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে কাশেম শিকদার ও তার ছেলে মামুন শিকদার চুরি করে নেওয়া মোবাইল ফোন চাইতে রাসেল মাদবরের বাড়িতে যান। এ সময় রাসেলের সঙ্গে কাশেম শিকদার ও তার ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাসেল মাদবর ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে লাঠিসোঁটা, দা-বঁটি নিয়ে কাশেম শিকদার ও তার ছেলের ওপর হামলা চালান। হামলায় কাশেম শিকদার আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক কাশেম শিকদারকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত কাশেমের ছেলে মামুন শিকদার বলেন, প্রায় তিন মাস আগে আমাদের ঘর থেকে মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় আমরা রাসেল মাদবরকে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি আমাদের হাত থেকে ছুটে দৌড়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘ দিন পর গতকাল তিনি ফিরেছে জানতে পেরে আজকে আমি ও আমার বাবা মোবাইল ফোন চাইতে তাদের বাড়ি যাই। এ সময় রাসেল, তার বাবা কাশেম মাদবরসহ তার পরিবারের সদস্যরা কোদাল, বটি, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমার বাবার মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ফোন চুরির ঘটনায় সেটি চাইতে গেলে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের লোকের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তাছাড়া এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এফআর