ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা

ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে শেখ কামাল ও তার পরিবারবর্গের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া বাদ জোহর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মসজিদে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের রুহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের কর্মময় জীবন স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। মাত্র ২৬ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এ দেশকে তিনি অনেককিছু দিয়ে গেছেন। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে, বিশেষ করে সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী হিসেবে, শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘শেখ কামাল অত্যন্ত ভদ্র ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। খেলাধুলার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার দুর্দান্ত বিচরণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতেন। তার সুন্দর আচার-ব্যবহারের কারণে সবার কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। আর অন্যের সহায়তায় তিনি সবসময় এগিয়ে আসতেন। ’

ড. মোমেন আরও বলেন, ‘শেখ কামালের মধ্যে কোনোরকম অহংকার ছিল না। তিনি যে বঙ্গবন্ধুর ছেলে এটা কখনও বলে বেড়াতেন না। রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান হয়েও তার মধ্যে এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যেতো না। অগ্রজদের প্রতিও তার শ্রদ্ধাবোধ ছিল অকৃত্রিম। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ কামালের মতো অমায়িক ও সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্বকে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকেরা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের মতো এ ধরনের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় না। এ হত্যাকাণ্ডে শুধু রাষ্ট্রপ্রধানকে নয় তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের, আত্মীয়স্বজনদের তিন-তিনটি বাড়ি থেকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি ১০ বছরের শিশুপুত্র রাসেলকেও হত্যা করেছে খুনিরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড খুঁজে পাওয়া যায় না। ’

তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয় ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে পাঁচ জন এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে। আদালতের রায় কার্যকর করতে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। ’

দোয়া মাহফিলে শেখ কামালসহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।