ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাসান আরিফকে নিয়ে যা বললেন ড.কামাল হোসেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
হাসান আরিফকে নিয়ে যা বললেন ড.কামাল হোসেন সদ্য প্রয়াত হাসান আরিফ ও ড.কামাল হোসেন

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড.কামাল হোসেন বলেন, অভিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুকে হারিয়েছি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে হাসান আরিফের জানাজা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

ড.কামাল হোসেন বলেন, যাকে হারিয়েছি তিনি সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ওনাকে হারানোয় বারে (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) একটা শূন্যতা সৃষ্টি হবে। যারা চিনতেন তারা ভালা বন্ধু এবং অভিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুকে হারিয়েছেন। এ রকম লোক একজনের পর একজন আমরা হারাচ্ছি, যেটা খালি হচ্ছে সেটাকে পূরণ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এ এফ হাসান আরিফের ভূমিকা স্মরণীয় ছিল, সেই ধরনের যারা অভিজ্ঞ লোক আইনজীবী হিসেবে এবং সমাজে দরদ নিয়ে যারা ছিলেন তার মধ্যে তিনি অন্যতম। আমি নিজে একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারিয়েছি। তার মাগফিরাত কামনা করি ও দোয়া করি।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শুক্রবার বিকেলে ল্যাব এইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার দাফনের সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয় হাসান আরিফকে। বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। তখন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তাকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিশ, বাণিজ্যিক সালিশ, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছিলেন।

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ২০০৭-২০০৮ সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
ইএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।