ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই মৈত্রী সেতুতে যাত্রী চলাচলে পদক্ষেপ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই মৈত্রী সেতুতে যাত্রী চলাচলে পদক্ষেপ 

ঢাকা: আগামী সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দিয়ে যাত্রী চলাচল শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, রামগড় মৈত্রী সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেছিলেন। এখানে আমাদের সব অবকাঠামো হয়ে গেছে। কাস্টমসে চলে গেছে। শুধু ইমিগ্রেশনের কারণে আমরা এটি চালু করতে পারছি না। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা করে ফেলতে পারবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। তার (সফর) আগেও কিছু-কিছু বিষয় আছে, এগুলো আমরা শেষ করতে পারি- এ কথাগুলো আলোচনা হয়েছে।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে কি আলোচনা হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানে। তবে যেহেতু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই যেন আমরা এটার অপারেশনে চলে যেতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম দিয়ে ফেনী নদীর ওপর দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সেতু। ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মৈত্রী এ সেতুর উদ্বোধন করেন।  

১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নদী সেতু দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত যুক্ত হয়। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তিস্থাপন করেছিলেন।

১৩৩ কোটি রুপি ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড- এনএইচআইডিসিএল। এই সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ফলে বন্দর থেকে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮,২০২৩
জিসিজি /এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।