ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুরে জমি অধিগ্রহণ, মালিকদের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
মেহেরপুরে জমি অধিগ্রহণ, মালিকদের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ

মেহেরপুর : সরকারি ভবন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে মেহেরপুরে আতঙ্কে রয়েছেন জমির মালিকরা। তাদের দাবি ভূমি অধিগ্রহণ শাখা জমির ন্যায্য দাম দিচ্ছেনা ।

  এতে অনেক জমি মালিক ভূমিহীন হয়ে যাবে।  

মেহেরপুর জেলা শহরের ভূমি অফিস পাড়ার আবদুর রজ্জাক বলেন- আমাদের চাষযোগ্য জমি মাত্র এক একর। পাসপোর্ট অফিসের জন্য ২৫ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপআঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণে বাকি জমিটুকু অধিগ্রহণে চিঠি দিয়েছে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেছি চাষযোগ্য জমিটুকু অধিগ্রহণ করে আমাকে ভূমিহীন না করার জন্য।  তিনি বলেন, আমাদের চাষাবাদের শেষ জমিটুকু অধিগ্রহণ করা হলে আমরা ভূমিহীন হয়ে যাবো।  

দেশের ২২ জেলায় ১টি করে পলেটেকনিকাল ইনস্টিটিউট নির্মাণ হবার কথা ছিলো। ২১ জেলায় সম্পন্ন হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে মেহেরপুর পলেটেকনিকাল ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজ। বাংলাদেশের সব উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান হলেও, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় মুজিবনগর মডেল মসজিদের কাজ এখোনো আলোর মুখ দেখিনি। মেহেরপুরে রেললাইন, মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স, মেহেরপুর চেকপোস্ট, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ মন্ত্রীসভায় পাস হয়েছে। ওসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণে মেহেরপুরে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। একই সাথে শুরু হয়েছে জমি মালিকদের মধ্যে সঠিক দাম না পাওয়ার আতংক। ইতোমধ্যে পাসপোর্ট অফিস, ছহিউদ্দনি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
  
জেলা শহরের উপকণ্ঠে বামন পাড়া মৌজার জমির মালিক আশরাফুল হক বলেন, আমার একবিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আমার পাশের জমি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ টাকা শতাংশ দামে।  সরকার আমার জমির মূল্য  নির্ধারণ করেছে ৫৭ হাজার টাকা শতাংশ। সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ম মূল্যর চেয়েও কম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি আমাকে আপত্তি দাখিলের জন্য মাত্র ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে।

বন্দর গ্রামের মোঃ গাউছুল জানান তাদের তিন শরিকের ১২কাঠা জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে । কিন্তু কোন টাকা পয়সা দেয়নি । সেই জমির উপর লিচু গাছ ছিলো সেগুলোও দেয়া হয়নি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন, আমি এই জেলাতে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে যোগদান করেছি। ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন মেনেই অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। তারপরেও কোনো ব্যক্তি সঠিক মূল্য না পেলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমার কাছে দরখাস্ত দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা,আগস্ট ১০, ২০২৩
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।