ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশ সংকট, মিলছে সাগরে

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশ সংকট, মিলছে সাগরে ইলিশ

ভোলা: বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ পাওয়া গেলেও ভোলার  মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশের সংকট রয়েছে। সে কারণে সাগরমুখী হয়ে পড়ছেন জেলেরা।

আর এতেই সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের আড়ত।

সাগরে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতেই সংকট দূর করতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

এদিকে গত এক মাসে সাগর থেকে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্যবিভাগ।

তারা বলছেন, আগামী কয়েকদিন পর ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে। ডিম ছাড়ার সময় হলে নদীতেও ধরা পড়বে ইলিশ।

উপকূলীয় বিভিন্ন ঘাট ঘুরে জানা গেছে, ভরা মৌসুমেও যখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছিল না তখন অনেকটাই হতাশ ছিলেন জেলেরা। দুই সপ্তাহ আগে কিছুটা মাছ পেয়ে আশা জেগেছিল জেলেদের মনে। কিন্তু এরপরেই আবার দেখা দেয় ইলিশের সংকট। ফের অনিশ্চয়তায় পড়েন জেলেরা। তবে গত দুই/তিনদিন এখন আর সে চিত্র নেই। সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। জেলেদের আহরিত সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আড়তে। আর এতেই সরগরম উপকূলের আড়তগুলো। এমন মাছের সরবরাহে খুশি জেলেরা।

জেলে মনির, ইদ্রিস, কাসেম ও সিরাজ উদ্দিন সহ অন্যরা জানান, নদীতে সারাদিন জাল বেয়ে তেলের খরচ ওঠে না, তাই ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাই। সাগরে যে পরিমাণ মাছ মিলছে তাতে খরচ উঠে সংকট দূর হবে বলে আশা তাদের।

সাগরে মাছের এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে জেলেরা সংকট দূর করতে পারবেন বলে আশাবাদী আড়তদাররা।

ইলিশা ঘাটের আড়তদার মাসুদ রানা বলেন, দুই/তিনদিন ধরে সাগরে মাছ ধরা পড়ছে, আমাদের কেনা-বেচা ভালো। তবে মেঘনায় মাছ কম। সাগরের মাছ দিয়ে জেলেরা তাদের সংকট দূর করার চেষ্টা করছেন।

এদিকে ইলিশের পেটে ডিম এলে একইভাবে নদীতেও ইলিশ মাছ ধরা পড়বে বলে মনে করছে মৎস্যবিভাগ।  

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, এ মৌসুমে নানা কারণে ইলিশের সংকট, এর মধ্যে বৃষ্টিপাত কম হওয়া, ডুবোচরে তলদেশ ভরাট এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ রয়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ইলিশের ভরা মৌসুম এক মাস পিছিয়েছে, তবে আগামী এক মাসের মধ্যেই ইলিশের পেটে ডিম আসবে তখন সাগর থেকে নদীমুখী হবে ইলিশ।

এ বছর জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন। আর জেলায় বাৎসরিক ইলিশের চাহিদা ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট ইলিশ চলে যায় ঢাকা চাঁদপুরসহ বিভিন্ন পাইকারি আড়তে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।