ফরিদপুর: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে নিখোঁজের ১৫ দিন পর শ্বশুর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মিনু বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী উজ্জ্বল শেখকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর র্যাব-১০।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর র্যাব-১০ এর সম্মেলন কক্ষে কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এরআগে সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রধান আসামি স্বামী উজ্জ্বল শেখকে ফরিদপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া উজ্জ্বল শেখ রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মো. কুদ্দুস শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের মা সোনা বানু বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক কে এম শাইখ আকতার জানান, গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে ও পারিবারিক কলহের কারণে ৩ আগস্ট রাতে রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়ায় স্ত্রী মিনুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখে। পরে এ হত্যার ঘটনাটি আড়াল করতে স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনা প্রচার করে গৃহবধূর স্বামী উজ্জ্বল ও তার পরিবারের লোকজন।
গত ১৯ আগস্ট ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে সংবাদ দেয় এলাকাবাসী। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ মিনু বেগমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আসামি উজ্জ্বল তার স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি জহুরা বেগম পুলিশ হেফাজতে হত্যা ও গুমের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এসএম