পঞ্চগড়: এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন সুজন রহমান (২১) নামে এক যুবক। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়া এখন অনেকটাই অনিশ্চিত তার।
সাবেক প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিকের লাঠিপেটায় এখন তিনি শয্যাশায়ী। কোমরের হাড় ভেঙে গেছে সুজনের এবং কিডনিতে মারাত্মক আঘাত লেগে মুমূর্ষু অবস্থা তার। রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা চলছে তার।
আহত সুজন পঞ্চগড় সদর উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত বর্তমান প্রেমিকের নাম সিফাত।
গত শনিবার (২০ আগস্ট) পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ভান্ডারুগ্রাম নতুন চাকলা এলাকায় মারধরের শিকার হন সুজন।
অভিযোগ, সুজনকে ডেকে নিয়ে এই মারধর করেছেন তার সাবেক প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিক সিফাত।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে সিফাত নামে এক কিশোর সুজন রহমানের সঙ্গে প্রেমিকার অভিনয় করে মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় সিফাত কয়েকজন যুবককে নিয়ে সুজনকে লাঠিপেটা করে তার ঘাড় ও পেটে আঘাত করেন।
আহত সুজনের ভাই সোহাগ সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, একবছর আগে এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ভাইয়ের। কিন্তু ওই কিশোরী একই সময় অন্য একজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতো। বিষয়টি সুজন জেনে যাওয়ার পর তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন। সুজন ঢাকাতে ফার্মেসির দোকানে চাকরি করছিলেন। শুধু এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য বাড়িতে আসেন। এরই মাঝে সিফাত ডেকে নিয়ে ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন। এখন আমার ছোটভাই সুজনের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হবে না।
সুজনের চাচা শাহাজাহান বলেন, সিফাত কৌশলে মোবাইলে এসএমএস করে তার বাড়ির পাশে সুজনকে ডেকে নিয়ে পাঁচ থেকে ছয়জন মিলে হামলা চালিয়ে আহত করেন। খবর শুনে আমি সুজনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার ধারণা সিফাত ওই মেয়ের সাবেক প্রেমিককে সহ্য করতে পারে না বলেই সুজনের উপর হামলা চালিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশিদুল আলম চৌধূরী জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, এই ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
এসএএইচ