গাইবান্ধা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা না হলেও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে এমপিপ্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে জনগণের মাঝে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা।
বিশেষ করে এই আসনে বিগত ৭ বারের এমপি সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে যে নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
প্রায় ২০ বছর ধরে ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার জনসাধারণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ফারজানা রাব্বী বুবলীর।
কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে, কীভাবে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে হবে তা দীর্ঘদিন বাবার সান্নিধ্যে থেকে শিখেছেন বুবলী।
প্রতি রমজানে ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সকল মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, সরকারি-বেসরকারি সকল কলেজ, মাদরাসা শিক্ষক,কর্মচারী, এতিম,ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বিভিন্ন এনজিও সমিতি, শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে নিজ বাড়িতে ইফতারসহ নৈশভোজের মাধ্যমে মত বিনিময় করে আসছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী।
প্রতি বছর নিজ তহবিল হতে দলীয় কর্মীসহ অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, কন্যাদায়গ্রস্ত বাবার মেয়ের বিয়েতে অর্থ সহায়তা প্রদান, গরিব মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাসহ মানুষের যে কোনো বিপদে ফারজানা রাব্বী বুবলী কাজ করে যাচ্ছেন।
যে কারণে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ফারজানা রাব্বী বুবলীর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়।
ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনে ফারজানা রাব্বী বুবলীকেই এমপি হিসেবে দেখতে চান তারা।
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে সরেজমিনে আলাপচারিতায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা সরদার জানান, মরহুম ভেলু ভাই (অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী) যেভাবে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষের সেবা করে গেছেন তার প্রতিশ্রুতি আমরা ভেলু ভাইয়ের মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর মাঝে পেয়েছি।
সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের চা দোকানি ছমির মিয়া এবং কালির বাজারের চা দোকানি আ. কাফি মিয়া জানান, বুবলী আপার সঙ্গে দেখা হলে অত্যন্ত হাসিমুখে আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন। তার কোনো অহংকার নাই।
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক আবু তারেক আজিজ তমাল, সাঘাটা উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কবির সরকার, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল সরকার জানান, ফুলছড়ি-সাঘাটার রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আপামর জনতার ভাগ্যোন্নয়নে ফারজানা রাব্বী বুবলীর বিকল্প নেই।
ঘুরিদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম, কামালের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বাছের আলী জানান যখনই কাজের জন্য ভেলু ভাইয়ের কাছে গিয়েছি,বুবলী আপা আমাদের সব সময় সহযোগিতা করেছেন।
কালির বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইফুল ইসলাম জানান, বুবলী আপা অত্যন্ত বিনয়ী ভদ্র এবং অমায়িক নারী।
গুনভরি হাইস্কুলের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের কোনো গরিব শিক্ষার্থীর জন্য সুপারিশ করলে বুবলী আপা সঙ্গে সঙ্গে তার পড়াশুনার বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দিতেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়া যেমন আওয়ামী লীগের এমপি হলেও সবার জন্য দরজা খোলা ছিল তেমনি ফারজানা রাব্বী বুবলীও একজন সহনশীল পরমতসহিষ্ণু,উদার মানসিকতার একজন রাজনৈতিক নেতা। তাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে ভিন্নমতের অনেকেই ভোট দেবে। অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আসনটি হারাতে পারে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এসএএইচ