ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের দৃঢ় যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের দৃঢ় যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিশ্ব নেতাদের সাহসী এবং দৃঢ় যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় পি-ফোরজি সামিটে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহবান জানান।

‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বৈশ্বিক নেতৃত্ব’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে বক্তৃতাকালে তাজুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।

তিনি একটি সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব এবং সংহতি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন, যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।

আগামী দিনেও পিফোরজি’র সাথে কাজ চালিয়ে যেতে বাংলাদেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনুকরণীয় আর্থ-সামাজিক অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত জলবায়ু অভিযোজন সমাধান ভাগাভাগি ও অগ্রসর করার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন।

এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলভারো লেইভা এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওলে থঙ্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাজুল ইসলাম বলেন, এমন অনেক খাত রয়েছে যেখানে দুই দেশ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে। কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের চমৎকার অর্জনের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের কাছ থেকে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কলম্বিয়ার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

উভয় মন্ত্রী কীভাবে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্তরকে শক্তিশালী ও আরো উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডেনিশ ভাইস মিনিস্টার পিফোরজি-এর পাঁচটি ফোকাস এলাকায় কাজ করতে সম্মত হয়েছেন, যাতে যুবকদের সহযোগিতা এবং তাদের জন্য উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরি করা যায়। তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আরও সহযোগিতার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম তৃতীয় পিফোরজি সামিটে যোগ দিতে দুই দিনের সরকারি সফরে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় রয়েছেন। পিফোরজি হলো একটি বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্ম যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি পূরণের জন্য আরও উন্নত এবং সবুজ পৃথিবীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বাস্তব সমাধানের জন্য কাজ করেছে। বাংলাদেশ ২০১৯ সালে পিফোরজি অংশীদার দেশ হিসেবে যোগদান করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।