ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চায় স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চায় স্পিকার

ঢাকা: রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সৌজন্য সাক্ষাৎকারে তিনি সহযোগিতা কামনা করেন।

সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মাতৃস্বাস্থ্য  ‍সুরক্ষা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, প্রায় এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে সরকার। তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের পাশাপাশি পোশাকশিল্পে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে সরকার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। এ সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

সুদীর্ঘ ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি বলেন, অধিক জনসংখ্যার দেশ হয়েও বাংলাদেশের জিডিপি ও প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসনীয়। কোভিড পরবর্তী সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা উল্লেখযোগ্য। এ সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।