ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সোনারগাঁ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
সোনারগাঁ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজুকে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সোনারগাঁ পৌর এলাকার রয়েল রিসোর্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে ২৮৩টি মোবাইল ফোন ছিনতাইয় হয়। রোববার দুপুরে কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা মোবাইল ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া বাদি হয়ে মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজুসহ ৪ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান রবিন পৌরসভার খাসনগর দিঘির পাড় গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে ও শাহরিয়ার হাসান খাঁন সাজু গোয়ালদী গ্রামের নাসিরউদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগে বলা হয়, কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার বাসিন্দা মোবাইল ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ২৮৩টি মোবাইল সেট নিয়ে একটি প্রাইভেটকার যোগে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা অতিক্রমের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে প্রাইভেটকারটি গতিরোধ করে। পরে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায় কে বা কারা।

পরে ছিনতাইকারীদের পরিচয় জানতে পেরে রবিন ও সাজুর কাছে মোবাইলগুলো ফেরত পেতে আর্জি জানান সুমন। কিন্তু তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি। ১১দিন অপেক্ষার পর গতকাল রোববার দুপুরে ব্যবসায়ী সুমন সোনারগাঁ থানায় রবিন, সাজুসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরে রাতেই পুলিশ পৌরসভার খাসনগর দিঘির পাড় রয়েল রির্সোটের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে রবিন ও সাজু নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যূতা ও হামলা ভাংচুরের অভিযোগে ১৫টি মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এমআরপি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।