ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রাইভেটকারে কিশোর চালক, ধাক্কায় আহত ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
প্রাইভেটকারে কিশোর চালক, ধাক্কায় আহত ৪ ফাইল ফটো

ঢাকা: ডাক্তার দেখিয়ে স্ত্রী ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে রিকশাযোগে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন ইমরান রেজা (৩৮)।

ইকবাল রোডের একপাশ ধরে এগোচ্ছিল তাদের রিকশাটি।

হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের রিকশাটির ওপর তুলে দেয় একটি প্রাইভেটকার।

এরপর প্রাইভেটকারটি রিকশাটিকে ওই গতিতেই কিছুদূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এতে রিকশাটি পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং রিকশায় থাকা সবাই গুরুতর আহত হন।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকার রাস্তার মোড় ঘুরেই একটি রিকশাকে বেপরোয়া গতিতে চাপা দেয়। গাড়িটির গতি এতই বেশি ছিল যে রিকশাটিকে রাস্তার এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিয়ে যায়। রিকশাচালক ও যাত্রীরা গাড়ির নিচে চাপা পড়েন।

জানা গেছে, গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।

এতে রিকশাচালক হাবিবুর রহমান (৪৫), যাত্রী আফরোজা আহমেদ (৩৪) ও তার স্বামী ইমরান রেজা (৩৮) গুরুতর আহত হন। এছাড়া আফরোজা ও ইমরানের তিন বছর বয়সী মেয়ে এনায়া রেজাও (৩) আহত হয়।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা এক কিশোর (১৫) এবং সালমান হায়দার (২৪) নামের এক তরুণকে আটক করেন। পরে তাদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়। ওই কিশোরের বাবা সৌদিপ্রবাসী। কিশোরটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

চালক কিশোরের মায়ের দাবি, সালমান কিশোরটিকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই কিশোরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।  কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে ওই কিশোরকে আর ওই তরুণ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গাড়িটি চালাচ্ছিল ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর। সালমান হায়দার তাকে গাড়ি চালাতে দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন আহত ইমরানের বাবা রফিকুল ইসলাম।

আহত রিকশাচালক হাবিবুর রহমান বর্তমানে এখন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি রয়েছে। এছাড়া রিকশাযাত্রী ইমরান ও আফরোজা রাজধানীর দুটি হাসপাতালে ভর্তি।

আফরোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তার স্বামী ইমরান পেশায় প্রকৌশলী। তাদের সাত বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
পিএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।