ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সংসদ এলাকা থেকে জিয়া কবর অপসারণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
সংসদ এলাকা থেকে জিয়া কবর অপসারণের দাবি

ঢাকা: বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছে মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠন। অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড দেওয়া ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে শাস্তি দাবি করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে মায়ের কান্না। এসময় সাত দফা দাবিও জানায় সংগঠনটি।

বক্তারা বলেন, জেনারেল জিয়া আমাদের বাবাদের বিনা কারণে হত্যা করেছে। আমরা আমাদের বাবাদের কবর এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। এমনকি কবরের পাশে গিয়ে জিয়ারত পর্যন্ত করতে পারি না। যেহেতু আমাদের বাবার কবর নেই তাহলে খুনি জিয়ার কবরও থাকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই খুনি জিয়ার যেন মরণোত্তর বিচার করা হয়। একইসঙ্গে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর যেন অপসারণ করা হয়।

এ সময় সাত দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। দাবিগুলো হলো- ১৯৭৭ সনের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা; ভুক্তভোগীদের প্রত্যেককে স্ব-স্ব পদে সর্বোচ্চ র‍্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারি সব সুযোগ সুবিধা প্রদান; জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমান বাহিনী সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি হয়েছে তাদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা ও কবরস্থান চিহ্নিত করে তাদের নামসহ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি; ভুক্তভোগী সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে তাদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া; ১৯৭৭ সনের ২ অক্টোবরের ভুক্তভোগীদের তালিকা প্রকাশ; অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচার এবং জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণ।

মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বক্তব্য দেন কর্পোরাল নওরেজ ডি রোজারিও, সার্জেন্ট মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, সার্জেন্ট আজিজুর রহমানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, সার্জেন্ট মো হাবিবুর রহমানের ছেলে মো সাইদুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।