ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীকে হত্যা, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীকে হত্যা, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইব্রাহিম খলিলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।  

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোর রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির তকিরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

রায় দেওয়ার সাড়ে সাত মাস পর তাকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

ইব্রাহিম খলিল রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।  

জানা গেছে, স্ত্রী রিনা বেগমের সঙ্গে ইউসুফ নামে একজনের পরকীয়ার জেরে ২০১৭ সালের ৩ জুন তাদের দুইজনকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে ইব্রাহিম।  

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসান জানান, জোড়া খুনের ঘটনায় ইব্রাহিমের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। সাত মাস পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে রামগতি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  

আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম ফেনীর একটি ইটভাটার মাঝি ছিলেন। রামগতি চরলক্ষ্মী গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে ইউসুফ তার সঙ্গে ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এ সুযোগে প্রায়ই ইউসুফ তার বাড়িতে যেতেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনার সঙ্গে ইউসুফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালের ৩ জুন রমজানে ইফতারের সময় ইউসুফ ওই বাড়িতে যায়। এর প্রায় ১৫ দিন আগে ইউসুফ কাজ থেকে চলে আসে। পরে তিনি এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফেনী থেকে ইব্রাহিম বাড়িতে এসে রিনা ও ইউসুফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম দুজনকেই ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে ইউসুফকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। ঘটনায় পরদিন ইউসুফের স্ত্রী তছলিমা বেগম বাদী হয়ে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, আহত অবস্থায় রিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রিনা মারা যান। পরে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় নিহতের মা জানু বেগম একটি জিডি করেন। এ হত্যাকাণ্ড দুটি একই ঘটনা হওয়ায় ১১ জুন মামলাটি রামগতি থানার মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন। একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহম্মদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম ইব্রাহিমকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের সময় আসামি পলাতক ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।