ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া মামলায় ইউপি সদস্যের কারাদণ্ড, আপিল শর্তে জামিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া মামলায় ইউপি সদস্যের কারাদণ্ড, আপিল শর্তে জামিন

লক্ষ্মীপুর: পরকীয়ার মামলায় জাকির হোসেন সুমন (৩৯) নামে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পরে আপিল শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় স্বপ্না বেগম ও পারভেজ হোসেন নামে দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।   

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক তারেক আজিজ এ রায় দেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত সুমন ওই ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির মৃত রফিক উল্যার ছেলে।  

খালাসপ্রাপ্ত স্বপ্না দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মো. মানিকের স্ত্রী ও পারভেজ একই এলাকার গাইনেগো বাড়ির মোস্তফা মিয়ার ছেলে।  

মামলার বাদী ছিলেন স্বপ্নার স্বামী পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. মানিক। তিনি দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের ওসমান আলী হাজী বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।  আদালতের পেশকার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ও রাকিবুল হাসান তামিম জানান, আসামি সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আপিল শর্তে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে মানিক ও স্বপ্নার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুইটি সন্তান রয়েছে। মানিক অধিকাংশ সময় কর্মস্থল ঢাকায় থাকতেন। সেই সুযোগে ইউপি সদস্য সুমন ও স্বপ্না ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও মোবাইলফোনের মাধ্যমে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়। মানিক ঢাকা থেকে এসে স্ত্রীকে ঘটনাটি নিয়ে বকাঝকা করেন। এগুলো বন্ধ করতেও বলেন তিনি। ২০২২ সালের ২৩ মার্চ মানিকের ছোট ভাই ব্যবসায়ী রাসেল দোকানের মালামাল কেনার জন্য ঘরের স্টিল আলমারিতে ছয় লাখ টাকা এনে রাখেন। পরদিন স্বপ্না ওই টাকা এবং বিভিন্ন সময় স্বামীর দেওয়া তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে সুমনের সঙ্গে পালিয়ে যান। এতে পারভেজ তাদের সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল মানিক বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী স্বপ্না ও ইউপি মেম্বার সুমনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  

২০২২ সালের ০৫ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম আদালতে সুমনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।