ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই বৃদ্ধ বয়সে এসেও এ চেষ্টা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
‘স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই বৃদ্ধ বয়সে এসেও এ চেষ্টা’ ৭৫ বছর বয়সী দৌড়বিদ সোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন (ছবিতে মাঝে)

নরসিংদী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার সময় থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু। পরে ম্যারাথন আসার পর আমি ম্যারাথনে যোগ দেই।

১৮ বছর ধরে দেশ এবং বিদেশের কয়েকটি ম্যারাথনে যোগ দিয়েছি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতেই বৃদ্ধ বয়সে এসেও এ চেষ্টা। কথাগুলো বলেন ৭৫ বছর বয়সী দৌড়বিদ সোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন।

এ সময় তিনি জীবনের মর্যাদা দিতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে আগামীর তরুণ প্রজন্মকে রানার হওয়ারও পরামর্শ দেন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) নরসিংদীর রায়পুরায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নিতে এসে এসব কথা বলেন প্রবীণ এ দৌড়বিদ।

‘মাইরের উপর ওষুধ নেই, দৌড়ের উপর ব্যায়াম নেই’ এবং ‘যদি আপনি ধুমপান ছাড়তে চান, তাহলে দৌড়ান’ এসব প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট থেকে ম্যারাথনে আসা শাহজালাল অ্যাকটিভ রানার্সের অ্যাডমিন মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, শরীর ও মন সুস্থ থাকতে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা তরুণ সমাজকে রান করার জন্য উদ্বুদ্ব করতেই রায়পুরাতে এ ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছে। আমি ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ২১ কিলোমিটার দৌড় শেষ করেছি। আমি দেশের বিভিন্ন জায়গার ম্যারাথনে অংশ নেই। সামনে আমাদের আরও কয়েকটি ম্যারাথন রয়েছে।

রায়পুরার রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ গেট থেকে শুরু হয়ে ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের ফুল দৌড় ও ১০কিলোমিটার দূরত্বের হাফ দৌড়ের একাধিক গ্রুপের মাধ্যমে দৌড়বিদরা দৌড়ে পুনরায় এসে এখানে শেষ হয়।

এ প্রতিযোগিতায় নারী ও পুরুষ মিলিয়ে অংশ নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও জাপান, কুরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস সহ মোট ৭টি দেশের ৪০০ জন দৌড়বিদ।

আয়োজকরা জানান, প্রতিটি প্রতিযোগীর শরীরে একটি করে চিপ ফিটিংস করে দেওয়া হয়েছে। এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তাদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নিজে সুস্থ থাকতে রান করার বিকল্প নেই। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে এবং শরীরকে ভালো রাখতে যুবকদের রান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেই রায়পুরাতে এ ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছে। এমন আয়োজনের মাধ্যমে রায়পুরাতে নতুন রানার তৈরি হবে বলে ধারণা তাদের।

পরে আয়োজনে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণমাধ্যমকর্মী ডা. সাকলায়েন রাসেলসহ বিভিন্ন জেলার রানার্স কমিটির অ্যাডমিন ও সদস্যরা।

রায়পুরা রানার্স গ্রুপের অ্যাডমিন সবুজ শিকদার বলেন, নিজে রান করলে হবে না সবাইকে নিয়ে রান করতে হবে এ বিশ্বাসকে সামনে রেখে আমরা ম্যারাথনের আয়োজন করেছি। যাতে তরুণ সমাজসহ সব বয়সী মানুষ দৌড়ের উপকারিতা বুঝে। আমাদের এ ম্যারাথনে বিদেশিসহ প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন। যারা অংশ্রগ্রহণ করেছে তাদের সবাইকেসহ বিজয়ীদের পুরস্কৃত করে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।