নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই উচ্চ বিদ্যালয়টি অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা ১৫ থেকে ২০টি মূল্যবান গাছও কেটে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি বুধবার (২৫ অক্টোবর) থেকে তদন্ত শুরু করেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার নাম ফলক ভাঙচুর, ছাত্রকে পেটানো, রাতের আঁধারে স্কুল মাঠের গাছ কেটে আত্মসাতসহ বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মইনুল আরেফিন চৌধুরীর নামে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নীলফামারী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম মকবুল হোসেনের ছেলে এবং জমিদাতা ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক নির্বাচিত সভাপতি তৌহিদুর রহমান।
এদিকে বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা ১৫ থেকে ২০টি মূল্যবান গাছ কেটে আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার দাম প্রায় লাখ টাকা। পুরাতন ইট ঘষামাজা করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। আর কোনো কাজ না করেই বরাদ্দকৃত পাঁচ লাখ টাকার দুই লাখ টাকা উত্তোলন করা ছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সমস্ত অনিয়ম ও অপকর্মের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম সরাসরি জড়িত। তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
আরএ