অর্থনীতি সমিতি মনে করছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৪৮ থেকে ১৬৬টি আসন। আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি পেতে পারে ১১৯ থেকে ১৩৭টি আসন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ইস্কাটনে অর্থনীতি সমিতির অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এমন তথ্য উপস্থাপন করেন।
‘ভোটারের মন ও আসন্ন ২০২৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল’ শীর্ষক সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ১১৯ থেকে ১৩৭টি আসন পেতে পারে। বিএনপির পক্ষে জোটবদ্ধ সরকার গঠনের একটি গাণিতিক সম্ভাবনা আছে। যে সম্ভাবনা অনেক বেশি শর্তসাপেক্ষ বিধায় দুর্বল। শর্তগুলো হলো- বিএনপিকে পেতে হবে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন (১৩৭টি আসন)। জোট করতে হবে জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, বিজেপি এবং এলডিপির সঙ্গে। আওয়ামী লীগকে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন সংখ্যক আসনের (১৪৮ আসন) বেশি পাওয়া চলবে না।
মূল প্রবদ্ধে বলা হয়েছে, ‘ভিত্তি ভোট’ এবং ‘ভিত্তি আসন’ দিয়ে সরকার গঠন হবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- দুই দলেরই ৭০টি করে ‘ভিত্তি আসন’ আছে। দুই দলের মধ্যে যেকোনো দলের সরকার গঠনের জন্য আরও ৮১টি আসন প্রয়োজন। তা পেতে হলে দুই বড় দলকে নির্ভর করতে হবে দোদুল্যমান ভোটারদের ওপর। এবারে দোদুল্যমান ভোটারদের ভোট প্রদান সিদ্ধান্তে ৫টি অবজেক্টিভ ফ্যাক্টর ও সংশ্লিষ্ট কাউন্টার ফ্যাক্টর কাজ করবে বলে মনে হয়। তা হলো- দ্রব্যমূল্য, মানব নিরাপত্তা, পদ্মা সেতু, ২০১৮ সালের নির্বাচন এবং স্যাংশনস।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
জেডএ/এফআর