রাজশাহী: এবার রাজশাহী রেলস্টেশনের মূল ফটকে দুইটি ককটেল পাওয়া গেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এ খবর রেলওয়ে স্টেশনে ছড়িয়ে পড়লে যাত্রী ও আশপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মূল ফটক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং আশপাশের উৎসুক জনতাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে কে বা কারা সেখানে ককটেল রেখে গিয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে না পারলে এটি অবরোধ সমর্থকদের কাজ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জনমনে আতঙ্ক ছড়াতেই রেলস্টেশনের প্রবেশদ্বারের পাশে ককটেল দুইটি রাখা হয়েছিল বলেই ধারণা করছে পুলিশ। বর্তমানে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে সর্বপ্রথম রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষটি নজরে আসে আশপাশের মানুষের। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও র্যাবের কয়েকটি টিম রেলওয়ে স্টেশনের মূল ফটক ঘিরে রাখে। করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট ককটেল দুইটি নিস্ক্রিয় করে।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, রাতে রেলস্টেশনে লাল স্কচটেপে মোড়ানো দুইটি ককটেল বা হাত বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর পুরো এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে ডাকা হয়। তারা এসে ককটেল দুইটি নিস্ক্রিয় করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ট্রেন চলাচল আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। অবরোধ সমর্থকরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তাই বর্তমানে বিষটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন ইয়ার্ডে থেমে থাকা ট্রেনের নিচ থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় আন্তঃনগর ট্রেনের এসি বগির নিচে রেললাইন থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। ভারতগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে পেট্রল বোমা হামলার একদিন পর ককটেলটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
এসএস/জেএইচ