ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি টানা বৃষ্টি, কমেছে তাপমাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
বরিশালে বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি টানা বৃষ্টি, কমেছে তাপমাত্রা

বরিশাল: ঘূর্ণিঝড়ের ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। মাঝারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দমকা হাওয়াও বইতে শুরু করেছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিন অথবা রাতের চেয়ে শুক্রবার সকালে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, সর্বশেষ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাতাসের গতিবেগ ৮-১০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।

তিনি বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরের দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদিন দুপুর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে মোট ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। বর্তমানে বরিশালের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে আছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত বরিশাল জেলায় প্রায় সাড়ে ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে উপজেলাগুলোতে থাকা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দাপ্তরিক ভবন ও পাকা স্থাপনাগুলো ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া উদ্ধারকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেচ্ছাসেবকরাও প্রস্তুত আছেন। আর মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নগদ টাকারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে বিভাগীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬ হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বিভাগের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রেই প্রায় ১৩ লাখ মানুষ ও দেড় লাখের অধিক পশু আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া পশুদের জন্য বিভাগের ৫২টি মুজিবকেল্লাও প্রস্তুত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের ১ হাজার ৮৪৫টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর যে কোনো ধরনের উদ্ধার কাজে বরিশাল বিভাগের ৫ জেলায় ৩২ হাজার ৫০০ জন সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।

এছাড়া বিভাগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এর দেড় হাজারের বেশি সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।

সেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি বিভাগের দুইটি নৌ স্টেশনসহ ৪২টি স্টেশনে ৮৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এমএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।