ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভূমি মন্ত্রণালয়কে ‘স্মার্ট মিনিস্ট্রি’ হিসেবে দাঁড় করিয়েছি: ভূমিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
ভূমি মন্ত্রণালয়কে ‘স্মার্ট মিনিস্ট্রি’ হিসেবে দাঁড় করিয়েছি: ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা: ভূমি মন্ত্রণালয়কে ‘স্মার্ট মিনিস্ট্রি’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্মার্ট ভূমিসেবা বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি। এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা শেইপে নিয়ে এসেছি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর যেটা ম্যানুয়ালি ছিল। সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন পর বাবদ ৫ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে আরও কাজ বাকি আছে। আমরা ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ করছি। ‌ ডিজিটাল সার্ভের কাজ সারাদেশে শুরু হবে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ একটা ট্র্যাকে আমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। এখন এটা স্পিড আপ করতে হবে। কিছু কাজ বাকি আছে আমার মনে হয়। এটাই এক মাসের মধ্যে মোটামুটি একটা শেইপে চলে আসবে। শতভাগ স্যাটিসফাইড না হলেও মোটামুটি একটা জায়গায় আমরা দাঁড় করিয়েছি। তবে হ্যাঁ, মাঠ পর্যায়ে এখনও আমাদের সমস্যা আছে। রাতারাতি কোনো কিছু রিপেয়ার করা খুবই কঠিন। সিস্টেমের মাধ্যমে ডেভেলপ করে আমি যতটুকু পেরেছি করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল জায়গাটা হলো- জনগণকে হয়রানি মুক্ত করা যায়। পাশাপাশি জনগণ যাতে সেবা পায়। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর একটাই কথা আমরা জনগণের সেবক। আজকে বাংলাদেশ দেখেন কোথায় পৌঁছে গেছে। আজকে মেট্রোরেল থেকে মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। গত ১৫ বছরে যেটা আমরা বলেছি সেটা করে দেখিয়েছি। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প থেকে মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। এতে করে জীবনের অনেক সময় বেঁচে গেছে।

তিনি বলেন, এতকিছুর মধ্যে দ্রব্যমূল্য বেশি হওয়ায় মানুষ একটু কষ্ট পাচ্ছে। এটা হওয়ার কারণও আন্তর্জাতিক বিষয়- যেমন, কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এরপর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ আমাদের দেশিয় কিছু বিষয় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের জন্য দায়ী। কিন্তু আমরা আশা করছি ধীরে ধীরে দাম কমে আসবে। আমরা কাজ করছি, চেষ্টা করে যাচ্ছি কিছু করে যাওয়ার জন্য। কারণ, মানুষের জীবনে সুযোগ সব সময় আসে না। তাই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।

কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)। সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।