ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ, বন্ধের হুমকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ, বন্ধের হুমকি

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দেশের একমাত্র মিঠা পানির বিচ মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পর্যটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান।

এর আগে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মোহনপুর পর্যটন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে ওই ইউনিয়নের শাহীন খালাসী, শামীম খালাসী, জহির খালাসী, নুরু ইসলাম, পাবেল ও আবু তাহেরের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল। সর্বশেষ তারা সোমবার রাতে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে পর্যটনের ৬টি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পর্যটন বন্ধের এবং কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে মোহনপুর পর্যটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ওই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল এবং পর্যটনে কর্মরত শ্রমিকরা ডিউটি শেষে বাড়িতে ফেরার সময় এবং কর্মস্থলে আসতে তাদের বাধা দেওয়াসহ নানা হুমকি দিত। সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ ছেড়ে চলে গেছে।

এছাড়া পর্যটন মার্কেটের ২০ থেকে ৩০টি দোকান জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়ে পর্যটনে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পর্যটনে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমরা কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদও করা যায় না। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, আমি এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং ভিডিও দেখেছি। এ বিষয়ে পর্যটন মালিক কাজী মিজানকে থানায় মামলা করার জন্য বলেছি। এরপর আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।