ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধর-লিফলেট ছিনতাই 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধর-লিফলেট ছিনতাই 

ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা। এসময় এ কে আজাদের ঈগল মার্কার লিফলেট ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকায় এ কে আজাদের সমর্থক রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত রনি মোল্লা ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

এদিকে বিকেল ৩টার দিকে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাকের মোড়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রাসুল তানিয়ার নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার পথরোধ করে হুমকি এবং ঈগল মার্কার লিফলেট ছিনতাই করেন শামীম হকের সমর্থকেরা।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রাসুল তানিয়া বলেন, আমরা ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বের হয়েছিলাম। আলীপুরের রাজ্জাকের মোড়ে আমরা উপস্থিত হলে শামীম হকের সমর্থক এজাজ খানের বাহিনী প্রায় ৩০-৪০টা মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। এসময় আমরা আলীপুরে এ কে আজাদের কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারবো না বলে চলে যেতে বলেন। ভবিষ্যতে এই এলাকায় প্রচারণা করতে এলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এসময় আমাদের কাছে থাকা ঈগল মার্কার লিফলেট তারা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়াও আমাদের নেত্রী চুমকির কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এর আগে মাহমুদপুর এলাকায় এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণা করার জন্য স্থানীয় নান্নু মোল্লার ছেলে রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।  

কাইয়ুম মোল্লা বলেন, আমার বাবা ও আমার পরিবারের সবাই এ কে আজাদ চাচার সমর্থক, তাই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। আমার বাবা নান্নু মোল্লা এই সেন্টার কমিটির সভাপতি। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আমার বড় ভাইয়ের মুদি দোকান খুলতে আমি দোকানে যাই। দোকান খুলবো এমন সময় শামীম হকের ভাতিজা মোস্তফার নেতৃত্বে আজাদ, আসাদ ও চুন্নু আমাকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। তারা এসময় আমাকে বলতে থাকে তোরা আর আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবি না। এখন থেকে নৌকার প্রচারণা করবি, তা না হলে তোদের মেরে ফেলবো। এই বলে আমাকে পিটাতে থাকে। একপর্যায়ে আমার ভাই রনি আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। আমার ভাই রনি এখন ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুর গাফ্ফার বলেন, দুটি ঘটনা সর্ম্পকে আমরা অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ দেওয়ায় নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থীতা বাতিল করে। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত শামীম হকের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন। শামীম হকের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণার পরই হকের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর১৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।