মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বিল্লাল খানকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে গাজীপুর থেকে তাকে করে মাদারীপুরের জেলার গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিনের কোন্দল পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হওয়ায় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য এসকেনদার খাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া এসকেনদার ও বিল্লালদের মধ্যে এর আগে জমিজমা নিয়ে বিরোধ এবং মারামারির ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়। এই পূর্বের বিরোধকে কাজে লাগিয়ে এসকেনদারকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিল্লাল সরাসরি জড়িত বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকারও করেছে। সন্ধ্যায় বিল্লালকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকেনদারসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়ার সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক এসকেনদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পায়ের রগ কর্তনও করা হয়। বাঁধা দিলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এসেকনদার। পরে রোববার নিহতের ছেলে কিরণ খাঁ বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এসএম