ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত গুলি ছোড়েন তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত গুলি ছোড়েন তারা

ঢাকা: টাঙ্গাইলের বাঘিলে তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ফারুক হোসেন (৪০) ও কামরুল (৩৪)। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়।  

র‍্যাব জানায়, ২৪ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের কাঠুয়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ একজনের বাবা বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর রোকন, এমদাদ, সিয়ামসহ চার-পাঁচ জন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কাঠুয়া যোগনী এলাকায় পৌঁছালে গ্রেপ্তার ফারুক হোসেন ও কামরুলের নেতৃত্বে বেশকয়েকজন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ওপর অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করেন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।  

এ সময় রোকন, এমদাদ ও সিয়ামের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে গ্রেপ্তাররা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের সঙ্গে গ্রেপ্তারদের আগে থেকেই অন্তঃকোন্দল ছিল। গ্রেপ্তাররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং অতি উৎসাহী হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত করেন।  

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার ফারুক এ ঘটনার পর রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যান। পরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইতোপূর্বে অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছেন।

গ্রেপ্তার কামরুল ফারুকের অন্যতম সহযোগী। ঘটনার পর তিনি ফারুকের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন। সেখান থেকে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তিনি নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।